সংক্ষিপ্ত
- নীতিশ কুমারের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে টানলেন
- আরজেডি নেতা তেজস্ব যাদব বললেন প্রধানমন্ত্রীরাও অনেক ভাইবোন
- নীতিশের অপমান তাঁর কাছে আর্শীবাদ
- বললেন লালু যাদবের পুত্র
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তিনটি দফায় হবে ভোট গ্রহণ। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নীতিশ কুমারের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছেন তেজস্বী যাদব। ৬৯ বছরের রাজানৈতিক অভিজজ্ঞা সম্পন্ন নীতিশ কুমারকে প্রায় প্রতিপদেই কঠোর লড়াইয়ে ফেলেছেন ৩০ বছরের তেজস্বী যাদব। ক্রিকেটের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় নীতিশের তুলনায় অনেকটাই নবীন তিনি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় জনতা দলের এই তরুণ তুর্কী প্রথমেই নীতিশ কুমারকে বিপাকে ফেলেছিলেন ১০ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আর তাঁর দ্বিতীয় চাল নীতিশ কুমারের সন্তান নিয়ে কটাক্ষকে পাল্টা বুমেরাং করে তাঁর দিকেই ছুঁড়ে দেওয়া।
সোমবার ভোট প্রচারে গিয়ে লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবকে আক্রামণ করেন নীতিশ কুমার। তিনি নাম না করে তিনি বলেন, যাঁরা আট থেকে নয় সন্তানের জন্ম দেন তাঁরা উন্নতির কী বোঝেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এতগুলি সন্তানের জন্ম দেওয়ায় কারোই ভালো করে দেখভাল করা হয় না। লালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নীতিশ বলেন কন্যা সন্তানকে পছন্দ করেন না ওঁরা। ছেলের জন্যই একের এক সন্তানের জন্ম দেন।
নাম না করলেও এই বক্তব্য যে তেজস্ব যাদবের উদ্দেশ্যে তা অবশ্য বুঝতে বাকি ছিল না কারও। কিন্তু তেজস্বী মঙ্গলবার সকালেই নীতিশ কুমরারে বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মানসিক আর শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে গেছেন নীতিশ কুমার। পাশাপাশি তিনি বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মানও তাঁর কাছে আর্শীবাদের সমান। তিনি আরও বলেন তাঁর পরিবারকে আক্রামণ করতে গিয়ে নীতিশ কুমার আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিবারকে আক্রমণ করেছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীরাও ৬-৭ ভাইবোন। তিনি আরও বলেন নীতিশ কুমার তাঁর মায়ের ভাবাবেগকে আঘাত না করে বিহারের আসল সমস্যাগুলির দিকে নজর দিতে পারেন। কারণ বিহারের সবথেকে বড় সমস্যা হল বেরোজগারি, অনুন্নয়ন।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম থেকেই নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদব একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তেজস্ব যখন ১০ লক্ষ চারকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তখন নীতিশ কুমার বলেছিলেন কোথা থেকে এত ঠাকা আসবে যে তেজস্বী ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেবেন। তারপরেই নিজের দাবিতে অনড় থেকে তাঁর সমস্ত পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছিলেন তেজস্বী। পাশাপাশি সরকারি চাকরিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একটি অন্যতম ইস্যুও তৈরি করেছিলেন। আর সেখানে কিছুটা হলেও ব্যকফুটে রয়েছে নীতিশ।