সংক্ষিপ্ত
- হিলসা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি
- জেডিইউ প্রার্থী জয় পেয়েছে মাত্রা ১২ ভোট
- গণনায় কারচুপির অভিযোগ আরজেডির
- কমিশনকে চাপ দিয়ে ফলবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ
বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান মাত্র ১২। এক অন্য নজির তৈরি করল বিহারের হিলসা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের ফলাফাল। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে প্রধানদুই প্রতিদ্বন্দ্বির প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান মাত্র ১২। আর বাড়তি ১২টি ভোট পেয়ে বিধানসভায় যাওয়ার রাস্তা করে নিয়েছেন নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড প্রার্থী কৃষ্ণমুরারি শরণ ওরফে প্রেম মুখিয়া। আর দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল প্রার্থী আর্তী মুণি ওরফে শক্তিসিং যাদব।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেডিইউ-এর প্রার্থী কৃষ্ণমুরারি শরণের প্রাপ্ত ভোট হল ৬১ হাজার ৮৪৮। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হল ৬১ হাজার, ৮৩৬টি ভোট। ১২ ভোটের ব্যবধানকে সামনে রেখেই এই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট। শতাংশের হারে দুজনেরই প্রাপ্ত ৩৭.৩৫। ভোট গণনা চলাকালীন এই আসন নিয়ে সরব হয় আরজিডি। দলের পক্ষে থেকে অভিযোগ করা হয় এই কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি করা হচ্ছে। আরজেডির অভিযোগ প্রথম দফায় তাদের দলের প্রার্থীকে ৫৪৭ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং অফিসার তাদের প্রার্থীকে সংশাপত্রও সংগ্রহ করার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। কিন্তু আচমকাই তিনি মত বদল করেন বলে অভিযোগ। আরজিডির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন পেয়েই রিটার্নিং অফিসার জানান পোস্টাল ব্যালট বাতিল হওয়ার কারণে ১৩ ভোটে হেরে গেছে আরজেডি প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে জেডিইউ প্রার্থী ২৩২ টি আরজেডি প্রার্থীর পোস্টাল ব্যলটে প্রাপ্ত ভোট হল ২৩৩। আরজেডির অভিযোগ তাদের প্রার্থীকে নীতিশ কুমার ও তাঁর সরকারের চাপে পড়েই জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। আরজেডির দাবি জোট ১১০টির পরিবর্তে ১১৯টি আসন পেয়েছে। আর সেই সংক্রান্ত একটি তালিতকাও পেশ করেছে তেজস্বীর দল। যদিও নির্বাচন কমিশন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছে তাদের ওপরে কোনও মহল থেকেই কোনও রকম চাপ তৈরি করা হয়নি।