সংক্ষিপ্ত

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এক কিশোরকে জোর করে মিয়ান সাহেব জিন্দাবাদ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁকে জোর করে আল্লাহ আকবর বলতে বলা হচ্ছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিহারের মজাফফরপুরের এক মর্মান্তি ঘটনা। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৫ বছরের এক কিশোরের ওপর চরম অত্যাচার করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার ফুটেজ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এক কিশোরকে জোর করে মিয়ান সাহেব জিন্দাবাদ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁকে জোর করে আল্লাহ আকবর বলতে বলা হচ্ছে। আক্রমণকারীরা নিজেদের পায়ে থুথু ফেলে তা ওই কিশোরকে দিয়ে জোর করে চাটিয়েছিল বলেও ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। যা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছে। এই ভিডিওর সত্যতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যাচাই করেনি। 

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিহার প্রশাসন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল মুন্না, সাহিল সহ একাধিক অভিযুক্ত। যদিও একজন বাদে সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে,ক্রমাগত অত্যাচারের কারণে কিশোরের একটি হাত ভেঙে গেছে। এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তিন জনকে আটক করেছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে মুন্না ও সাহিলের সহযোগীরা হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে। তারাই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই ভি়ডিওটি রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। যার কারণে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।

মতিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজন কুমার নিশ্চিত করেছেন যে ভিকটিমের বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার ফলে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ চারজন পরিচিত ব্যক্তি এবং দুজন অপরিচিত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও জড়িত অন্যরা পলাতক রয়েছে।