সংক্ষিপ্ত

গত সপ্তাহেই ভারতে এসেছে রাফাল যুদ্ধবিমান

ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে

ঘাবড়ে গিয়েছে পাকিস্তান-চিন

তবে দেশেও প্রতিবার উত্তরণ-অবতরণে তাকে পড়তে হবে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে

 

গত সপ্তাহেই ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে প্রথম পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। যার ফলে একলাফে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাকিস্তান বা চিনের মতো প্রতিবেশি শক্তিগুলিও রাফাল আসায় বেশ ঘাবড়ে গিয়েছে। কিন্তু, বহিঃশত্রুর আর দরকার কী, যদি দেশেই তাকে পড়তে হয় কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে? বস্তুত গত বুধবার বুকেলে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে অবতরণের সময়ই বিপদের মুখে পড়েছিল রাফাল, এমনটাই জানা গিয়েছে।

আর ওই একবারই নয়, অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে প্রতিবার টেক অফ এবং টাচডাউনের সময়ই বিপদের ঝুঁকি থাকবে রাফালের, এমনটাই জানাচ্ছেন আম্বালা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন বায়ুসেনা সদস্যরা। তবে, এই হুমকি কোনও পাক-পন্থী জঙ্গিবাহিনী কিংবা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে আসছে না। এই হুমকি তৈরি করছে পাখিরা।

বায়ুসেনার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন আম্বালা এয়ারবেসে এখন দারুণ পাখির উৎপাত। রাফাল অবতরণের সময়ও ওই এলাকায় প্রচুর কাক উড়তে দেখা গিয়েছিল। রাফাল-এর পথে তারা চলে এলেই হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা রাফাল যুদ্ধ বিমান মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারত কিংবা বিমানগুলির বড় ক্ষতি হতে পারত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছু ঘটেনি, কিন্তু, ঝুঁকিটা রয়েই গিয়েছে।

প্রশাসনের অনেক চেষ্টাতেও আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে এখনও পর্যন্ত এই পাখিদের হুমকি পুরোপুরি দূর করা যায়নি। আম্বালা বিমানঘাঁটির উপরে ওড়াওড়ি করে যুদ্ধবিমানগুলির টেক অফ বা অবতরণে বাধা সৃষ্টি করে তারা। ২০১৯ সালেরই ২৩ জুন আম্বালা থেকে যাত্রা শুরু করার সময় একটি জাগুয়ার বিমান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। পরে ঘটনার ভিডিও-তে দেখা গিয়েছিল জাগুয়ার-টির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল কিছু পাখির, তারপরই ধোঁয়া বের হতে শুরু করেছিল। বিমানচালক অবশ্য নিরাপদেই যুদ্ধবিমানটিকে ফের আম্বালার ঘাঁটিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটির কিছু যন্ত্রাংশ স্থানীয় একটি বাড়ির উপর পড়ে, সেই বাড়িটিতে ফাটল ধরেছিল।
 
বায়ুসেনার সদস্যদের দাবি এর কারণ হল আম্বালা বিমানঘাঁটির কাছাকাছি এলাকার মধ্য়েই কয়েকশো বাড়ি রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বাড়িতে পায়রা পোষা হয়। তার বাইরেও অনেক বাড়িতেই পাখিদেরও খাওয়ার জন্য ছাদে বা ঘরের আশেপাশে খাবার ছড়িয়ে গুলিও রাখা হয়।

এই অবস্থায় বায়ুসেনার বিমানগুলির নিরাপদ উত্তরণ ও অবতরণের জন্য সেনার পক্ষ থেকে বার্ড শ্যুটার মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তাও পুরোপুরি বিপদমুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। বায়ুসেনার পাইলটরা জানিয়েছেন, ছোট ছোট পাখিরা যুদ্ধবিমানের আওয়াজে ভয় পেয়ে পালায়, তাই তাদের নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। তবে চিল, বাজ বা ঈগলের মতো বড় পাখিগুলি তাঁদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তাঁরা বলছেন রাফাল আসায় তাঁদের শক্তি অনেক বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু পাখিদের দ্বালায় সেই শক্তিটি কতদিন অক্ষত রাখা যাবে তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।