সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস পজিটিভ অমিত শাহ

আর এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীরও

আশঙ্কা রয়েছে অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়েও

নরেন্দ্র মোদীর পজিটিভ হওয়ার ভয় কতটা

রবিবার করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে ভারতের প্রশাসনের একেবারে শীর্ষে। করোনভাইরাস পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার দুই নম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ-এর। ৫৫ বছর বয়সী বিজেপি নেতা তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য ভালো আছে বলে দাবি করলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তিনি আক্রান্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

অমিত শাহ জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীরে করোনার প্রাথমিক উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছিল। সূত্রের খবর গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেখানে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বা এনইপি ২০২০ অনুমোদিত হয়েছিল। সেই সভায় শারীরিকভাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

তবে, সেই সভায় প্রত্যেক মন্ত্রীই মাস্ক পরে ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হয়েছিল  কঠোরভাবে। আসলে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত কয়েকমাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে তাঁর বাসববনে একটি কঠোর মহামারি-নিরাপত্তা প্রোটোকল জারি করা হয়েছে।

সেই প্রোটোকল মেনে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে, আরোগ্য সেতু অ্যাপ চেক করে তবেই কাউকে বাসভবনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী, সচিব - সকলের ক্ষেত্রেই এক ব্যবস্থা। তার উপর সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর বাসবন চত্ত্বরে সেখানকার গাড়িই একমাত্র চলতে দেওয়া হয়। এখন অবশ্য গেটে থেকে মূল ভবনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভিতরের গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাইরের গাড়ি নিয়েই ঢুকছেন সাক্ষাৎপ্রার্থীরা। সেইসঙ্গে বেশিরভাগ সভা বা বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক উপস্থিতি এড়িয়ে ভিডিও কনফারেন্স-কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

জানা গিয়েছে গত কয়েকদিনে অমিত শাহ-এর সঙ্গে যাদের যাদের যোগাযোগ হয়েছে তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা তৈরি করা হবে। তাঁদের করোনাাভাইরাস পরীক্ষাও করা হবে। টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও সাম্প্রতিক দিনগুলিতে তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সকলকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে মন্ত্রিপরিষদের সর্বশেষ সভায় তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রধামন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদেরও সকলের করোনাভাইরাস পরীক্ষা হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।