সংক্ষিপ্ত
- বঙ্গ-বিজেপির অন্যতম সফল স্লোগান গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক।
- ইতিমধ্যেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তার দলীয় সাংসদ দের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের আসল চেহারা সারা দেশে প্রচার করার জন্য।
- এরকম অবস্থায় তাল কাটল শুক্রবার।
- ওড়িশার শাসক দল বিজেডির তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি ভোট লুট করতে পারে!
- ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
আগামী ২০শে জুলাই ওড়িশার পাতকুরা বিধানসভার উপনির্বাচন। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। বিজেডির অভিযোগ, বিজেপি বুথ দখল করার চেষ্টা করতে পারে। বৃহস্পতিবার বিজেডির সহসভাপতি প্রমিলা মল্লিক মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এক চিঠি লিখে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে প্রতিটি বুথে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তাবাহিনী-সহ সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থার জন্য। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চের আবেদনও করা হয়েছে।
বিজেডি প্রার্থী সোমপ্রকাশ আগরওয়ালার মৃত্যুতে ২৪ এপ্রিল স্থগিত হয়ে গিয়েছিল পাতকুরা কেন্দ্রের নির্বাচন। এরপরে ১৯শে মে উপনির্বাচনের দিন স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে সেইবারও নির্বাচন স্থগিত করে দিতে হয়। অবশেষে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আগামি ২০ জুলাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই কেন্দ্রের ভোটাররা। বিজেডি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে প্রয়াত সোমপ্রকাশের স্ত্রী সাবিত্রী আগরওয়ালাকে।
গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। জাতীয় স্তরে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং কর্ণাটকে ন্যুনতম গণতন্ত্র নেই। ওড়িশায় কিন্তু ছবিটা উল্টে গিয়েছে। একই অভিযোগের মুখে বিজেপি। আবার ত্রিপুরাতেও বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে। ত্রিপুরায় আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা রেকর্ড ৮৬ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সুরেই সেখানকার বিজেপি নেতারা বলছেন, বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারলে কি তারাই প্রার্থীর জোগান দেবেন!
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাফল্যের নেপথ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছিল চূড়ান্ত সরকার বিরোধিতা। ২০১৮ সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের দাপটে বিজেপি এবং বামফ্রন্ট প্রার্থীরা ৩০ শতাংশের বেশি আসনে মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। ভোট দিতে না পারার ভেতরে ভেতরে মানুষের মনে ক্ষোভ জন্মেছিল। আর তাকেই ভোটবাক্সে টেনে এনে লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ বাজিমাত করেছে বিজেপি, এমনটাই মনে করা হয়। নির্বাচন পরবর্তী অধ্যায়ে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পথে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। ওড়িশা, ত্রিপুরার ঘটনায় কিন্তু তাল কাটছে, আগামী দিনে এরাজ্যের ক্ষমতা হাতে পেলে বদলে যাবে না তো রাজ্য বিজেপি নেতাদের ভাষাও!