সংক্ষিপ্ত

পঞ্জাব সরকারকে বিঁধলেন একাধিক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পর্যন্ত প্রত্যেকে সরব হয়েছেন মোদীর পঞ্জাব সফরে ঘিরে বিশৃঙ্খলায়। 

পঞ্জাব সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। চান্নি সরকারের অপরিণামদর্শিতা ও পরিকল্পনার অভাবের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভাষাতেই পঞ্জাব সরকারকে বিঁধলেন একাধিক বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা পর্যন্ত প্রত্যেকে সরব হয়েছেন মোদীর পঞ্জাব সফরে ঘিরে বিশৃঙ্খলায়। 

স্মৃতি ইরানি টুইট করে লিখেছেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এটি একক বৃহত্তম ত্রুটি। আর পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার ঠিক সেই কাজটাই করে দেখিয়ে দিল। ভারতের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর ঘটেনি। কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী মোদী পছন্দ করেনা, কিন্তু আজ তারা প্রধানমন্ত্রী পদের অপমান করেছে। 

এদিন এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জনগণের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কায় এই কাজ করেছে। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে এদিন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে খেলা হয়েছে। 

সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল ঘোষণা করা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন পঞ্জাবে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থ। দেশের প্রধানমন্ত্রী যে রাজ্য নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাদের নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে আটকে পড়েছিলেন মোদী, এই ধরণের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা যায় না। 

উল্লেখ্য, ওভারব্রিজের ওপর যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দাঁড়িয়ে থাকতে হল এবং বাধ্য হয়ে সফর বাতিল করতে হল, তা পঞ্জাব সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। এই ভাষাতেই চরণজিত সিং চান্নি সরকারকে বেঁধে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুট একমাত্র জানত পঞ্জাব পুলিশ। তাহলে সেখানে বিক্ষোভকারীরা এল কীভাবে। এটা নিরাপত্তার চরম গাফিলতি ও চূড়ান্ত অপদার্থতা বলে দাবি করে কেন্দ্র। 

আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় গন্তব্যে সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরেই পঞ্জাব পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। যাত্রা শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর। হুসাইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, যখন প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তাটি অবরোধ করেছে। এই অবরোধের জেরে আটকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। ১৫থেকে ২০ মিনিট কনভয় আটকে থাকে ফ্লাইওভারে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড় ধরনের ত্রুটি বলেই বিশেষজ্ঞরা জানান। 
"