সংক্ষিপ্ত

সামনেই নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী

উদযাপনের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ

তারমধ্য়েই নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি

দাবি তুলে বিতর্কে বিজেপি সাংসদ

গোটা দেশ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মধ্যে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। তারমধ্য়ে সুভাষ বসুর মতো প্রবাদপ্রতীম স্বাধীনতা সংগ্রামীকে 'ভারতরত্ন' দেওয়ার দাবি তুলে বিতর্ক বাধালেন এক বিজেপি সাংসদ। মধ্যপ্রদেশের উজ্জইন জেলার আলোট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সাধারণত শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং সর্বোচ্চ মানের জনসেবার স্বীকৃতি হিসাবে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। এটিই দেশের হ'ল সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। কিন্তু, নেতাজির মতো ব্যক্তিত্বকে কি আদৌ ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া যায় কি না, তাই নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেতাজি সুভাষ বসু বা গান্ধীজি-র মতো ব্যক্তিত্বরা ভারত রাষ্ট্রের সব পুরস্কারের ঊর্ধ্বে, এমনটাই মনে করা হয়।

বিতর্কে বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া

তবে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত ২০ জানুয়ারী, সরকার জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি দিনটি 'পরক্রম দিবস' হিসাবে পালিত হবে। মহান দেশের মানুষ, বিশেষত যুবসমাজকে নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত করদতে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন ২৩ জানুয়ারি তারিখে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের বছরব্যপী কর্মমূচির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন একটি স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিটও প্রকাশ করা হবে। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, ভারতীয় রেল দেশের অন্যতম পুরোনো ট্রেন,স হাওড়া-কালকা মেলকে 'নেতাজি এক্সপ্রেস' নামকরণ করেছে।

অন্যদিকে বসে নেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি জয়ন্তীকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন। নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি ঠিক করতে কেন্দ্রের মতো রাজ্যের তরফেও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে নেতাজি সংক্রান্ত সকল ফাইলস প্রকাশ এবং 'আ হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ১৯৪২-৪৫' বইটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।