রাষ্ট্রপতি মুর্মুর উপর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। বিজেপির ২১ জন সাংসদ বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাব পেশ করেছেন, মন্তব্যকে অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন।
বিজেপি সাংসদদের সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাব: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাজেট অধিবেশনে ভাষণের পর রাজ্যসভা সাংসদ সোনিয়া গান্ধীর করা মন্তব্যের উপর বিজেপির ২১ জন আদিবাসী সাংসদ বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাব পেশ করেছেন। সোনিয়া গান্ধীকে ক্যামেরায় এ কথা বলতে দেখা গেছে যে রাষ্ট্রপতি খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিলেন এবং কষ্ট করে কথা বলছিলেন।
বিজেপি সাংসদদের প্রতিবাদ: সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্যকে অপমানজনক বলে অভিহিত
বিজেপি সাংসদরা সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্যকে রাষ্ট্রপতি পদের মর্যাদার জন্য অপমানজনক এবং হীন বলে অভিহিত করেছেন। তাদের দাবি, এই ধরনের মন্তব্য সংসদীয় প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক মर्याদার লঙ্ঘন করে। বিজেপি সাংসদদের মতে, গান্ধীর মন্তব্য অভিজাত এবং আদিবাসী-বিরোধী মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং এটি একজন দরিদ্র আদিবাসী মহিলার সংগ্রাম এবং সংবেদনশীলতা না বোঝার স্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে?
বিজেপি সাংসদরা প্রস্তাবে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য অনুচিত এবং নিন্দনীয়। তাদের মতে, এটি সংসদীয় নীতি এবং আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা সাংসদদের অন্যান্য সাংবিধানিক পদের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দ বলতে বাধা দেয়।
প্রস্তাবে একটি সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, সোনিয়া গান্ধীর মন্তব্য সংসদীয় বিশেষাধিকারের সুবিধা নিতে পারে না।
বিজেপি সাংসদদের দাবি: ব্যবস্থা নেওয়া হোক
বিজেপি সাংসদরা লোকসভা স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, সংসদের মর্যাদা এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা জরুরি।
