সংক্ষিপ্ত
কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসকেও পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন মোদী। তিনি বলেন পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।
উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর এবং গোয়ায় (Uttar Pradesh, Punjab, Uttarakhand Manipur and Goa) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ২০২২-য়ে (Assembly elections 2022) জিতবে বিজেপি। আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi )। কোন পথে এই জয় আসবে। সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিন কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসকেও পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন মোদী। তিনি বলেন পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।
মোদী বলেন “বিজেপি সর্বদা মানুষের সেবায় জড়িত। ক্ষমতায় থাকলে আমরা 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' মন্ত্র নিয়ে কাজ করি। আমি সব রাজ্যে বিজেপির তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছি। আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জয়ী হব এবং পাঁচটি রাজ্যের মানুষ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে।"
এদিন মোদী সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়ে, বলেন যে "আমরা এর আগেও অর্থাৎ ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে দুই ছেলের খেলা দেখেছি। তাদের এত অহংকার ছিল যে তারা গুজরাট কে দো গধে শব্দটি ব্যবহার করেছিল। উত্তরপ্রদেশ তাদের শিক্ষা দিয়েছে।" উল্লেখ্য ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে এসপি ও কংগ্রেস জোট বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের মধ্যে জোটকেও এদিন কটাক্ষ করেন মোদী।
মোদী বলেন "যেখানেই বিজেপিকে স্থিতিশীলতার সাথে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে আপনি ক্ষমতার পক্ষে নয়, ক্ষমতাবিরোধী পরিবেশ খুঁজে পাবেন। বিজেপি সর্বদা প্রো-ইনকাম্বেন্সির সাথে নির্বাচনে আবির্ভূত হয়।" পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়ে বিরোধীদের লক্ষ্য করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে তাঁর সরকারের কাজ হল দরিদ্রদের জন্য খাবারের কথা চিন্তা করা, তাদের জন্য ঘর এবং টয়লেট তৈরি করা, তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করা, রাস্তা তৈরি করা, ক্ষুদ্র কৃষকদের কথা চিন্তা করা।
আরও পড়ুন-বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশেও হারবে বিজেপি, অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগী ব্রিগেডকে আক্রমণ মমতার
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশেও 'খেলা হবে', বল হাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ মমতার
মোদী এদিন আরও বলেন "যখন আমি নকল সমাজতন্ত্রের কথা বলি, সেটা পরিবারতন্ত্রের কথা হয়। এর মধ্যে কোথাও কিন্তু লোহিয়া জি, জর্জ ফার্নান্দিস, নীতীশ কুমারের পরিবার সামিল নয়। কারণ তারা সমাজতন্ত্রী। আমি একটি চিঠি পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির ৪৫ জন লোক কিছু পদে আছেন। এই পরিবারতন্ত্র গণতন্ত্রের জন্য একটি হুমকি।" তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেন জম্মু কাশ্মীর থেকে শুরু করে, যেখানে দুটি আলাদা পরিবার দ্বারা পরিচালিত দুটি দল রয়েছে, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে একই ধরনের প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।