সংক্ষিপ্ত

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে বিজেপি এক ডজনেরও বেশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাদের দায়িত্ব দিয়েছিল। বেশির ভাগ আসনেই মন্ত্রীদের কাজ শেষ হয়েছে। তার রিপোর্ট বিজেপি নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা মঙ্গলবার ২০১৯ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়া লোকসভার ১৪৪টি আসনের জন্য একটি কৌশল তৈরি করেছেন। বিজেপি ইতিমধ্যেই মিশন ২০২৪-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই আসনগুলির দায়িত্ব সামলাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তার ভিত্তিতে রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে। 

বিজেপি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আসনগুলির অন্তত অর্ধেক জয়ের জন্য জোর দিয়েছিলেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে কোনো আসন জেতা কঠিন নয়। এই প্রচারে জড়িত মন্ত্রীদের পরামর্শ দিতে গিয়ে শাহ বলেন, সরকার তৈরি হয় শুধু সংগঠনকে ভিত্তি করে। সরকারের চেয়ে সংগঠন বড়।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে বিজেপি এক ডজনেরও বেশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাদের দায়িত্ব দিয়েছিল। বেশির ভাগ আসনেই মন্ত্রীদের কাজ শেষ হয়েছে। তার রিপোর্ট বিজেপি নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, অনুরাগ সিং ঠাকুর, স্মৃতি ইরানি, অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রমুখ নেতারা।

মন্ত্রীদের পরামর্শ
১. হারানো আসনগুলিকে জয়ে রূপান্তর করা একটি অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অন্তত অর্ধেক আসনে জিততে হবে
২. গত নির্বাচনেও প্রায় ৩০টি আসন হারিয়েছিল।
৩. কর্মীদের সম্মান দিন। মন্ত্রীদের উচিত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে যোগাযোগ করা এবং দলের সাথে তাদের মতামত শেয়ার করা।
৪. বিজেপি নেতৃত্ব তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলের সদর দফতরে সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই বৈঠকে বুথগুলিকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই বছরের মে মাসে, বিজেপি দলের জন্য ৭৮ হাজার দুর্বল বুথ চিহ্নিত করেছিল। এবার প্রতিটি বুথে অন্তত ৩০ জন নতুন সদস্যকে দলের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদের একটি দলও এই কাজের জন্য যুক্ত হয়েছে। সাংসদদের প্রত্যেককে ১০০টি বুথ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ভাগে। জানা গিয়েছে বিজেপির এই কর্মসূচির প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে ৩১ আগস্ট। এই সময়ে, বিজেপি প্রতিটি বুথ থেকে গত তিনটি নির্বাচনের ভোটের প্যাটার্ন এবং সেখানে বিজেপির ভোট ভাগ সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া একটি প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে। এটি বিজেপিকে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে যে কোন বুথে তার ভোটার কারা ছিল এবং কোন লোককে দলের আদর্শের সাথে যুক্ত করতে হবে।