সংক্ষিপ্ত

  • অনাহারের মৃত্যুর অভিযোগ ঝাড়খণ্ডে
  • পরিবারের রেশন কার্ড আয়ুষ্মান কার্ড নেই
  • দীর্ঘ দিন খাবার জোটে না বলে অভিযোগ
  • অভিযোগ অস্বীকার হেমন্ত সোরেন সরকার
     

ঝাড়খণ্ডের বোকারের একটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ৪২ বছরের বুখাল ঘাসি। গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু তারপর থেকেই বুখাল ঘাসির মৃত্যু নিয়ে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি। কারণ মৃতের পরিবারে অভিযোগ আনাহারে মৃত্যু হয়েছে বুখালের। মৃতের বিধবা স্ত্রী রেখা দেবী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কোনও রেশন কার্ড নেই। নেই আয়ুষ্মান কার্ডও। দীর্ঘ দিন খাবার জোটেনি এই পরিবারের। ১৪ বছরের এক সন্তানসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত। কাজের জন্য দুই ছেলে বাড়ির বাইরে থাকে। বাকিরা বেশ কয়েক দিন ধরেই রয়েছে অনাহারে।  দিনের পর দিন অনাহারে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুখাল ঘাসি। কিন্তু যে পরিবারের খাবারই জোটে না তাঁদের কাছে চিকিৎসা বিলাসিতা মাত্র। তাই অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসা পাননি বুখাল। ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।  তাঁর মৃত্যুর পর অনাহারে থাকার ঘটনা সামনে আসে। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপান উতোর। 

আরও পড়ুনঃদোল-এ খোলাখুলি মুসলিম মহিলাদের হেনস্থার আহ্বান, কুরুচিকর পোস্টে ভরেছে নেটদুনিয়া.

বুখাল ঘাসির মৃত্যুর পরই তাঁর সাম্প্রতিক ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। বোকারোর ডিস্ট্রিক কমিশনার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত ছিলেনা বুখাল। কাজের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই বেঙ্গালুরু থাকতেন। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাস ছয়েক আগেই  বোকারো ফিরে আসেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জানান হয়েছে বুখালের গোটা পরিবারই অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত। মৃতের স্ত্রীকে সরকারি আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। পাশাপাশি সরকারি অর্থ সাহায্যেই চিকিৎসা করা হবে মৃত বুখালুর স্ত্রী রেখা দেবীর। 

আরও পড়ুনঃ 'কাটা নাক ঢাকতে পরত সুর্পণখা', আজব রামকথার যুক্তিতে উঠল বোরখা নিষিদ্ধের দাবি

আরও পড়ুনঃ ক্ষমা চেয়ে রবীন্দ্রনাথের গানে অশানীল শব্দ ব্যবহারের প্রতিবাদ হাওড়ায় চার মহিলার

বুখাল ঘাসির অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকার। কারণ তাঁর মৃত্যুর এক দিন আগেই বিধানসভায় হেমন্ত সোরেন জানিয়েছিলেন রাজ্যে অনাহারে মৃত্যুর কোনও ঘটনা নেই। তাই রাজ্যের এক বাসিন্দার মৃত্যুর পরই কড়া পক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।  যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।