সংক্ষিপ্ত
বিজেপি বিরোধী পক্ষকে এককাট্টা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষে তিনি দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ঠিক করতে। যেখানে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি-সহ অংশ নিয়েছিল ১৭টি রাজনৈতিক দল। তবে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিল আপ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকেও বরফ গলল না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে যে তিনি নেই, সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধী পক্ষকে এককাট্টা করতে উঠে পড়ে লেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষে তিনি দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ঠিক করতে। যেখানে কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি-সহ অংশ নিয়েছিল ১৭টি রাজনৈতিক দল। তবে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিল আপ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।
এবার প্রশ্ন তাহলে বিরোধী শিবিরের রাষ্টরপতি পদপ্রার্থী কে হবেন। শরদ পাওয়ারের পর অনেকগুলি নামই উঠে আসছে। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্তত ১৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠীত হবে ১৮ই জুলাই ও গণনা হবে ২১শে জুলাই।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন বুধবারের বৈঠকে বেশ কয়েকটি দল যোগ দিয়েছিল সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে ঐক্যমত্যের মাধ্যমে প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে। প্রত্যেকের পরামর্শ নেওয়া হবে এক্ষেত্রে। শুরু হিসেবে এই উপস্থিতির সংখ্যা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচনে গঠনমূলক ভূমিকা নেবে কংগ্রেস। যাতে সবাই ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারে।
বুধবারের এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাব করেন। তবে শরদ পাওয়ারের নাম সব দলের সম্মতিক্রমে উঠে এলেও শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে এই দৌড় থেকে সরে যান এনসিপি প্রধান। যদিও তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে সবকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল।
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অভিন্ন প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে এদিনের বৈঠকে। সুধেন্দ্র কুলকার্নি জানান, বিরোধী নেতারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজন সাধারণ প্রার্থীকে দাঁড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব রেখেছেন। একজন প্রার্থী যিনি সত্যিকার অর্থে সংবিধানের রক্ষক হিসাবে কাজ করতে পারেন এবং মোদী সরকারকে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং ভারতের সামাজিক কাঠামোর আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখতে পারেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৭টি দলের নেতা- তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিআই(এম), সিপিআইএমএল, আরএসপি, শিবসেনা, এনসিপি, আরজেডি, এসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, জেডি(এস), ডিএমকে, আরএলডি, আইইউএমএল এবং জেএমএম