সংক্ষিপ্ত

ছিল এনসিসি-র বার্ষিক সম্মেলন।

সেখানেই সিএএ-র সমর্থনে যুক্তি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে তিনি কাশ্মীরের সমস্যার জন্য মুখতি ও আবদুল্লা পরিবারকে দায়ী করেন।

কংগ্রেস সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেও নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী।

 

ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে দেশ থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের প্রতি করা ঐতিহাসিক অবিচার হয়েছে। আর তা সংশোধন করার জন্য সরকার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা সিএএ এনেছে। নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি)-এর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারগুলিকে নিশানা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, সিএএ নিয়ে যারা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে, তারা পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি অস্বীকার করছে। এই নিপীড়িতদের মানুষদের আমাদের সাহায্য করা উচিত। কীরকম সেই অত্য়াচারের রূপ? মোদী জানান, কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একটি বিজ্ঞাপনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল শুধুমাত্র অমুসলিমদেরই সাফাই কর্মী পদে নিয়ুক্ত করা হবে। প্রতিবেশী দেশগুলিতে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া এইসব অন্যায় শোধরাতেই সিএএ প্রয়োজন।

শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়া নিয়েও কথা তোলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থার জন্য সেখানকার আবদুল্লা ও মুফতি পরিবারকে দায়ী করেন তিনি। তাঁর মতে এইসব পরিবার এবং রাজনৈতিক দলগুলিই উপত্যকায় সমস্য়া জিইয়ে রেখেছিল। এরফলেই সেখানে সন্ত্রাসের বিকাশ ঘটে।

একই মঞ্চ থেকে পাকিস্তানের নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশটি তিনটি যুদ্ধে হেরে গিয়েও ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার এই সমস্যাটিকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বলে ধরেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নিতে চাইলেও তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাদের 'নিষ্ক্রিয়তা'র জন্যই কাশ্মীরের সমস্যা এতটা জটিল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।