সংক্ষিপ্ত

আন্দামানে পাকড়াও করা পাচারকারীর সূত্র ধরে একেবারে বাংলার নদিয়া জেলায় হাজির হয় আন্দামানের পুলিশ। সেখান থেকেই ফাঁস হয় পাচারের গুপ্ত রহস্য। 

গাঁজা পাচারের সূত্র ধরা পড়ল খাস বাংলায়। দেশীয় স্তরে গাঁজার ব্যবসা শুরু করেছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী। কাপড় সরবরাহের আড়ালে চলত গাঁজা পাচারের কাজ। তদন্ত করতে করতে আন্দামান থেকে সোজা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় চলে এল আন্দামানের পুলিশ। নদিয়া জেলার শান্তিপুরে পুলিশি অভিযানে ফাঁস হল মাদক পাচারের রহস্য।

আন্দামান পুলিশের তদন্তে শান্তিপুর থেকে গ্রেফতার হলেন এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম জগন্নাথ শীল। কাপড় ব্যবসায়ী বলেই তাঁকে চিনতেন এলাকার মানুষ। কিন্তু, পুলিশের দাবি, শাড়ির ব্যবসার আড়ালে লুকিয়ে গাঁজা পাচার করতেন ওই ব্যবসায়ী। নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জগন্নাথের বিরুদ্ধে।

তদন্তে নেমে গোপন সূত্র মারফত জানতে পেরে একটি বেসরকারি লজ থেকে জগন্নাথ শীলকে গ্রেফতার করে আন্দামান থানার পুলিশ। এই তদন্তে সহায়তা করেছে শান্তিপুরের পুলিশও। এই ঘটনার প্রথম ভাগটি ঘটেছিল চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন, কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে আন্দামান বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন জগন্নাথের ছেলে এবং মেয়ে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই আন্দামান পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, এই কারবারের প্রধান মাথা হচ্ছেন জগন্নাথই। তখন থেকেই তিনি পালিয়ে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তখন থেকেই গোপন সূত্র মারফৎ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর তিনি লজে লুকিয়ে আছেন, এই খবর পেয়ে শান্তিপুরে অভিযান চালায় পুলিশ।

বুধবার রাতে শান্তিপুরের বুড়ো শিবতলা লেন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জগন্নাথ শীলকে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। এর পর জগন্নাথকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আন্দামানের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।

আরও পড়ুন-
১ দিনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল প্রায় ১ কোটি টাকা, গোয়ার বিলাসবহুল হোটেল আর ত্রিপুরার চা বাগান নিয়ে কী বললেন কুন্তল ঘোষ?
দীর্ঘ ৩৪ বছরের কঠোর পরিশ্রমের অবসান, TATA গ্রুপ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজেশ গোপীনাথন

টলতে টলতে এসে কলকাতার রাস্তায় পড়ে গেলেন তরতাজা যুবক, রক্তে লাল হয়ে যাওয়া শরীর দেখে হতবাক পুলিশ