সংক্ষিপ্ত
মেইতেই সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। এই কারণেই, অনেকে বলছেন যে, এটি ধর্মীয় সংঘাত, জাতিবিদ্বেষের কারণে খুন করা হচ্ছে।
৩ মে থেকে জ্বলছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জেরে প্রায় ৩ মাস ধরে সেই রাজ্যে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রত্যেকদিন প্রাণ হারিয়ে ফেলার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মেইতি সম্প্রদায়, যারা সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়, তাদের উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জোরালো দাবি তোলা হচ্ছে। উপজাতীয় সম্প্রদায় হিসেবে স্বীকৃত নাগা এবং কুকি-র মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা এই দাবির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। এর ফলেই বেঁধে গেছে লড়াই। হিংস্র আক্রমণ দাঙ্গায় জর্জরিত করে তুলেছে শান্ত রাজ্যটিকে।
মণিপুরের হিংস্রতায় এ পর্যন্ত দেড়শ-রও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই বাঁচার জন্য পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। অনেকেই মণিপুর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। এই সরগরম পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে একটা ভুল খবর ছড়িয়ে পড়ছে যে, মণিপুর দাঙ্গা নাকি হিন্দু আর খ্রিস্টান ধর্মের মানুষদের মধ্যে একটা ধর্মীয় সংঘর্ষ। মেইতেই সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। এই কারণেই, অনেকে বলছেন যে, এটি ধর্মীয় সংঘাত, জাতিবিদ্বেষের কারণে খুন করা হচ্ছে (Kuki Meitei Clash)।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার মুখ খুললেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের ভারতীয় কার্ডিনাল অসওয়াল্ড গ্রেসিয়াস। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন যে, মণিপুর হিংসা কোনও ধর্মীয় সংঘাত নয়। অসওয়াল্ড গ্রেসিয়াস মুম্বইয়ের ল্যাটিন চার্চের আর্চবিশপ। তাঁর বক্তব্য, “মণিপুরকে একটি সহিংস ধর্মীয় সংঘাত হিসাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটা কোনও ধর্মীয় সংঘাত নয়। এটা দুটি পৃথক দলের মধ্যে সংঘর্ষ। যারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, সেই দুটি উপজাতীয় সম্প্রদায় ঐতিহাসিক সময় থেকে একে অপরের প্রতি শত্রু মনোভাবাপন্ন। কিছু আইনের কারণে সেখানে হিংস্রতা ছড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “সেখানে গীর্জা ধ্বংস করা হয়েছে। একইভাবে মন্দিরগুলোও ধ্বংস করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার জন্য আমাদের কিছু করা উচিত। সম্প্রীতি ও শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। চার্চগুলোকে এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”
অশান্তিপূর্ণ ভাঙড়-কে কলকাতা পুলিশে অন্তর্ভুক্ত করার তোড়জোড়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর এলাকা পরিদর্শন
Before Dying Symptoms: শিবপুরাণ অনুসারে মৃত্যুর আগে এই লক্ষণগুলি বুঝিয়ে দেয় মানুষের বেঁচে থাকতে আর কতদিন বাকি
‘কালীঘাটের কাকু’-র সূত্র ধরে উঠে এল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম, নিয়োগ দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর খবর