সংক্ষিপ্ত
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরেই নিয়োগ দুর্নীতির নথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যোগ করে পিএমএলএ মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকাণ্ডের নথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যোগ করলেন ইডি আধিকারিকরা। গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বিরুদ্ধে তৈরি করা একটি তথ্যে রাখা হয়েছে অভিষেকের প্রসঙ্গ। ওই রিপোর্টটি রাজধানীতেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার সেই নথিতে সই করেছেন। সেটির ৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে, জানা যাচ্ছে যে, ওই নথির ওপর ভিত্তি করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না ইডি। তদন্তের সাপেক্ষেই এই নামোল্লেখ বলে জানা গেছে।
প্রায় ২ মাস আগে গ্রেফতার করা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নথিতে অভিষেকের নাম এসেছে। গ্রেফতারির আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রচুর কাগজের নথিপত্র এবং ডিজিটাল তথ্য উদ্ধার হয়। সেই সব নথিপত্র এবং ডিজিটাল তথ্য তদন্তের প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইছে ইডি। এ জন্য ইডি-র তরফে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন (পিএমএলএ) সংক্রান্ত মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষ (অ্যাডজুডিকেটিং অথিরিটি)-র কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনপত্রেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী অফিসার উল্লেখ করেছেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তৎকালীন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করতেন। সুজয় ভদ্র তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই সময় সুজয় ভদ্র তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের অফিসে যেতেন অভিষেকের বার্তা পৌঁছে দিতে।’
তবে, কোন কোন বার্তা সুজয়কৃষ্ণ মানিকের কাছে পৌঁছে দিতেন, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট করে ইডি সূত্রে জানা যায়নি। সমগ্র বিষয়টিই এখন ‘তদন্তসাপেক্ষ’। একজন ইডি আধিকারিকের দাবি, সুজয়ের সঙ্গে হুগলি থেকে ধৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠতার’ কথা তাঁরা জানতে পারেন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে জেরা করে। তাপস দাবি করেন, প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের থেকে বেআইনি ভাবে নেওয়া টাকা তিনি কুন্তলকে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কাকু’ ওরফে ‘সন্তুকাকা’-কে দেওয়ার জন্য। যদিও ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, তাপসের কথার সত্যতা ‘প্রমাণসাপেক্ষ’। তারপর সুজয়কে গ্রেফতার করার পরেই দিল্লিতে পাঠানো নথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যোগ করা হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম থাকা সেই নথি দিল্লির পিএমএলএ মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। জুনের ২৬ তারিখ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার সরকারি ভাবে নথির প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন-
Weather News: বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, শুক্রবার কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
Sex Tips: হাতে সময় না থাকলে চটজলদি উদ্দাম যৌনরসের মজা উপভোগ করবেন কীভাবে?
Benefits of Garlic For Sex: রসুনেই মিলবে চরম যৌন সুখ, জেনে নিন টোটকা