সংক্ষিপ্ত

২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। দায়ের হয় মামলা। তবে এরপর তিন বছর ধরে সেই মামলা অমীমাংসিত ছিল। সম্প্রতি এই শুনানি দ্রুত শেষ করার জন্য কেন্দ্রকে চাপ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই হল কাজ।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সিবিআইকে অবাধে তদন্ত করার অনুমতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে রাজ্য। কিন্তু তারপরও রাজ্যের অভিযোগ অনুমতি ছাড়াই আদালতের নির্দেশ মত সিবিআই বিভিন্ন মামলায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরোধিতা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। বুধবার সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। দায়ের হয় মামলা। তবে এরপর তিন বছর ধরে সেই মামলা অমীমাংসিত ছিল। সম্প্রতি এই শুনানি দ্রুত শেষ করার জন্য কেন্দ্রকে চাপ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই হল কাজ। গতকাল মামলাটির শুনানি শেষ হল সর্বোচ্চ আদালতে। CBI তদন্ত নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ ছিল সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা নয়। সিবিআই কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। রাজ্যের হাতে যেমন পুলিশ থাকে তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারেরও হাতে রয়েছে সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলি। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। কেন্দ্রের তরফে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, ইডি-র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রাজ্যে সিবিআই তদন্তের লাগামছাড়া অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে মমতা সরকার। উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের করা এই মামলাটির শুনানি চলছিল। রাজ্যের আইনজীবী সিব্বল বলেন, রাজ্যের অনুমতি না থাকলে কেন্দ্রও সিবিআইকে নির্দিষ্ট রাজ্যে প্রবেশের অবাধ অনুমতি দিতে পারে না। উল্টোদিকে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। কেন্দ্র কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। কেন্দ্র কোনও এফআইআর দায়ের করে না। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।’’ দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

CBI তদন্ত নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ ছিল সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা নয়। সিবিআই কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। রাজ্যের হাতে যেমন পুলিশ থাকে তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারেরও হাতে রয়েছে সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর পরবর্তীতে কী হতে চলেছে, সেটাই দেখার। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।