সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে এলআইসি-তে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
LIC-র শেয়ার নিয়ে চাপানউতর চলছিলই। অবশেষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এলআইসি আইপিও নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আইপিও-বাউন্ড এলআইসি-তে এফডিআই বা বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে এলআইসি-তে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে এটি লক্ষণীয় যে আগে এটি আশা করা হয়েছিল যে সরকার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এফডিআই নিয়ম পরিবর্তন করতে পারে। বর্তমান এফডিআই নীতি অনুযায়ী, বীমা খাতে স্বয়ংক্রিয় পথে ৭৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু, এই নিয়ম LIC-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
এর কারণ হল এলআইসির জন্য সরকারের একটি আলাদা আইন রয়েছে, যাকে এলআইসি আইন বলা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর এলআইয়ের প্রস্তাবিত আইপিওতে বিদেশি বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। মন্ত্রিসভা গত বছরের জুলাই মাসে দেশের বৃহত্তম বীমা সংস্থা LIC-এর প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (IPO) অনুমোদন করেছিল। এর জন্য খসড়া নথিটি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতি মার্চ মাস থেকেই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, এলআইসি-র আইপিও হবে এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় আইপিও। এর মাধ্যমে সরকার তাদের পাঁচ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে। এই আইপিওর আকার হতে পারে ৬৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
তবে বিশেষজ্ঞ মহল সূত্রে খবর, এলআইসি-এর আইপিওতে, ১০ শতাংশ শেয়ার পলিসি হোল্ডারদের জন্য সংরক্ষিত থাকতে পারে। যেখানে পাঁচ শতাংশ কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা যেতে পারে। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে জমা দেওয়া এলআইসি-এর খসড়া নথি (ডিআরএইচপি) অনুসারে, এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে পলিসি ধারক যদি ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২ সালের মধ্যে তার প্যান আপডেট না করেন, তবে তিনি এতে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন। তবে আইপিও এনটাইটেল করা হবে না। সেবি-র কাছে জমা দেওয়া DRAP অনুসারে এতে, সরকার তার ৫ শতাংশ শেয়ারের অধীনে ৩১.৬ কোটি শেয়ার ইস্যু করবে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অনুযায়ী কোম্পানির এমবেডেড মূল্য হবে ৫.৪ লক্ষ কোটি টাকা। সাধারণত একটি বীমা কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ এই মূল্যের চারগুণ হয়। এই অনুসারে, LIC-এর বাজারমূল্য হবে 288 বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা। এর দ্বারা LIC হয়ে উঠবে দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক মূলধন থাকা কোম্পানি। সহজ ভাবে দেখতে গেলে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই বাজারে পা রাখবে এলআইসির এই ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং ক্ষেত্রটি। তারপর এলআইসি-র শ্রীবৃদ্ধি কোনদিকে যায় এখন সেটাই দেখার।