Medicine Bann News: বছর শেষের আগে দেশজুড়ে একাধিক ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোন কোন ওষুধের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূ্র্ণ প্রতিবেদন…

Medicine Bann News: সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার নিমেসুলাইড (Nimesulide) যুক্ত সমস্ত ধরনের ওরাল পেইনকিলার বা ব্যথানাশক এবং জ্বরের ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

কী কারণে জারি হলো নিষেধাজ্ঞা?

সরকার জানিয়েছে, নিমেসুলাইডের অতিরিক্ত ব্যবহার মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে লিভার বা যকৃতের ওপর এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে দীর্ঘকাল ধরেই চিকিৎসা মহলে উদ্বেগ ছিল। সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, বাজারে বর্তমানে এই ওষুধের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প ওষুধ উপলব্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশের জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। ১৯৪০ সালের ওষুধ ও প্রসাধনী আইনের (Drugs and Cosmetics Act) ২৬এ ধারা প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

গত ২৯ ডিসেম্বর একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড বা DTAB-এর সাথে বিস্তারিত আলোচনার পর এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশিকাটি অবিলম্বে অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তির দিন থেকেই সারা দেশে কার্যকর হয়েছে।

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার নিমেসুলাইড (Nimesulide) ওষুধের সব ধরণের 'ইমিডিয়েট রিলিজ' (Immediate Release) ওরাল ফর্মুলেশন বা মুখে খাওয়ার ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উচ্চ মাত্রার ওষুধের ব্যবহার মানবদেহের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

কেন এই নিষেধাজ্ঞা?

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, নিমেসুলাইডের উচ্চ মাত্রা ব্যবহারের ফলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, এই ওষুধের পরিবর্তে বাজারে বর্তমানে আরও নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প ওষুধ উপলব্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট মাত্রা: মূলত ১০০ মিলিগ্রামের বেশি মাত্রার ওষুধের ওপর এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

ঝুঁকি: ওষুধের এই নির্দিষ্ট ডোজ মানবদেহের জন্য হানিকারক হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে।

বিকল্প ব্যবস্থা: রোগীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, ব্যথানাশক হিসেবে নিমেসুলাইডের চেয়ে নিরাপদ অনেক ওষুধ এখন বাজারে পাওয়া যায়, যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

সরকারের এই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ওষুধ কোম্পানিগুলো আর এই নির্দিষ্ট মাত্রার নিমেসুলাইড ওষুধ উৎপাদন বা বাজারজাত করতে পারবে না। ওষুধের অপব্যবহার রোধ এবং জনস্বাস্থ্য বজায় রাখতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।