সংক্ষিপ্ত
রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ভ্রমণকারীদের ইতিবাচক হওয়ার নমুনাগুলি দ্রুততার সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগারে পাঠানো হতে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নতুন বিপদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট (new covid varient)। নতুন এই কোভিড (Covid 19) স্ট্রেইনের সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত (India) সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করেছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের দিকেও বিশেয নজর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ভ্রমণকারীদের ইতিবাচক হওয়ার নমুনাগুলি দ্রুততার সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষাগারে পাঠানো হতে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে ঘনিষ্ঠভাবে ট্র্যাক করতে হবে। পাশাপাশি তাদের পরীক্ষাও জরুরি। দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং বাৎসোয়ানা থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কারণ এই জায়গুলিতে এখনও পর্যন্ত নতুন করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন 8 1 1529 সংক্রমণের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Kangana Ranaut: শিখ বিরোধী মন্তব্য, এফআইআর-এর পর এবার কঙ্গনাকে সমন দিল্লি বিধানসভার
Al-Zawahiri: আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির নতুন ভিডিও, রাষ্ট্রসংঘকে তুলোধনা জঙ্গি নেতার
Congress: দলে ভাঙন ধরার পরেও কংগ্রেসের গলায় 'বিরোধী ঐক্য', কোন পথে সংসদে রাহুলরা
ন্যাশানাল সেন্ট্রাল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বাৎসোয়ানায় তিন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬ হংকং-এর এক জনের শরীরে নতুন কোভিড ১৯এর স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন এই স্ট্রেইন 8 1 1529 ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে মিউটেশন হয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ দেশই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সেই কারণে এই স্ট্রেইন থেকে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে সংক্রমণ রুখতে কঠোর স্ক্রিনিং আর পরীক্ষা করা জরুরি। বিদেশ থেকে যে ভ্রমণকারীরা এই দেশে আসছে তাদের থেকে যাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই কারণেই ট্র্যাকিং আর পরীক্ষা করা জরুরি।
কোভিড ১৯এর নতুন রূপ যা আগে কখনও দেখা যায়নি। উচ্চ পরিমাণে স্পাইক মিউটেশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশগুলিতে এটি দেখতে পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ২২ জনের শরীরে নতুন এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। চলতি মাসে আফ্রিকায় সংক্রমণের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। এটি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে করোনার নতুন এই স্ট্রেইনটির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এটি কতটা উদ্বেগের তা নির্ধারণের জন্য শুক্রবার একটি প্রযুক্তিগত সভা ডাকা হতে পারে।