এদিনই ভারতে করোনার নতুন ইউকে জিনোম সনাক্ত হয়েছেতারপরই ১০ সরকারি ল্যাবের কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হললক্ষ্য জিনোম সিকোয়েন্সিংইউকে ভ্য়ারিয়েন্টের আগমনে জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়াচ্ছে সরকার
জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য দেশব্যপী ১০টি সরকারি ল্যাবের একটি কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হল। একে বলা হচ্ছে ইনসাকগ (INSACOG)। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই ল্যাবগুলি আইসিএমআর, বায়োটেক ইন্ডিয়া, সিএসআইআর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। এদিনই যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আসা ৬ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে নতুন ইউকে জিনোম পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গত ১৪ দিনে ভারতে আগত সমস্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের, যাঁরা করোনা ইতিবাচক হবেন এবং যাঁদের দেহে উপসর্গ দেখা যাবে - সকলের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও বলেছে, যুক্তরাজ্যের করোনভাইরাস স্ট্রেনটির উত্থানের আগে, ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৫০০০টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হত। এখন সেই সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এদিন বেঙ্গালুরুর নিমহানস ল্যাবে ৩টি, হায়দরাবাদের সিসিএমবি ল্যাবে ২টি এবং পুনের এনআইভি'র ল্যাবে ১টি নমুনার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নয়া ভাইরাস স্ট্রেন মিলেছে।

ভারত সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা (পিএসএ) অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবন অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, বর্তমান ভ্যাকসিনেই কাজ দেবে বলে। তাঁর মতে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে যে করোনার রূপভেদগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলির বিরুদ্ধে বর্তমান করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনগুলি অকার্যকর হবে, এটা শুধুমাত্র একটা অনুমান। তাকে সমর্থন করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট যতজন করোনা আক্রান্ত হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছেন, তার ৬৩ শতাংশই পুরুষ আর ৩৭ শতাংশ মহিলা। বয়সের দিক থেকে মোট আক্রান্তের মাত্র ৮ শতাংশের বয়স অনূর্ধ্ব ১৭। এছাড়া মোট আক্রান্তের ১৩ শতাংশ ১৮-২৫ বছর বয়সী, ৩৯ শতাংশ ২৬-৪৪ বছর বয়সী, ২৬ শতাংশ ৪৫-৬০ বছর বয়সী। আর মোট আক্রান্তের মধ্যে এর উপরের বয়সে থাকা ব্যক্তিরা রয়েছেন ১৪ শতাংশ।
