COVID-19 death: দেশের বিভিন্ন শহরে ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকী, করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। ফলে কয়েক বছর পর ফের দেশজুড়ে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
Chandigarh COVID-19 death: কোভিড-১৯ (COVID-19) বিগত দুই বছরে অনেকটা কমে এলেও, এই ভাইরাসের ভয় এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ভারতে সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা আবার সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। চণ্ডীগড়ে (Chandigarh) ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির কোভিড-১৯-এ মৃত্যু এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে যে এই রোগ এখন শুধুমাত্র বয়স্কদের বা গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। চণ্ডীগড়ে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে যখন দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চণ্ডীগড়ে কী ঘটেছে?
মৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি লুধিয়ানায় কর্মরত ছিলেন। শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে লুধিয়ানা থেকে চণ্ডীগড়ের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল (GMCH), সেক্টর ৩২-এ পাঠানো হয়। হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর মঙ্গলবার তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে এবং বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কিনা সে বিষয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এছাড়াও, এটিও জানানো হয়নি যে তাঁকে কোন কোভিড-১৯ ভ্যারিয়্যান্ট সংক্রমিত করেছিল।
ভ্যারিয়্যান্ট এবং সংক্রমণের তীব্রতা
PGIMER চণ্ডীগড়ের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডাঃ পি ভি এম লক্ষ্মী সম্প্রতি বলেছিলেন যে দেশে সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি কোনও নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কারণে নয়। বরং এটি JN.1 লাইনেজ সম্পর্কিত। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এই ভ্যারিয়্যান্ট কতটা মারাত্মক তা বলা মুশকিল। তবে যে ভ্যারিয়্যান্টই হোক না কেন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
করোনায় উদ্বেগের কারণ কী?
চণ্ডীগড়ের এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি এখনও রয়ে গিয়েছে। এটি কেবল বয়স্ক বা গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদেরই নয়, তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সি এবং সুস্থ ব্যক্তিদেরও প্রভাবিত করছে। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি এখনও কাটেনি, এবং আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ-
স্বাস্থ্য পরীক্ষা: যদি কারও শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টিকা: টিকা এবং বুস্টার ডোজ সময়মতো নেওয়া নিশ্চিত করুন।
সতর্কতা: জনবহুল স্থানে মাস্ক পরুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ: স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোনও পরিবর্তনের দিকে নজর রাখুন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


