সংক্ষিপ্ত

চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেলে মহিলাদের স্নানের   ভিডিও গোপনে রেকর্ড করে  ছেড়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেটে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ভিডিওতে থাকা  ছাত্রীরা 

নারীসম্মান রক্ষা ভারতবর্ষের পারম্পরিক রীতি গুলির মধ্যে একটা। নারীসম্মান রক্ষার  বহু নজির আমাদের পৌরানিক বইগুলি ঘাঁটলেই  পাওয়া যায় ।রাবন  সুর্পণখার সম্মান রক্ষার্থেই যুদ্ধ করেছিলেন রামের বিরুদ্ধে। আবার রানী পদ্মিনীও নারী সম্মান রক্ষার্থেই ঝাঁপ  দিয়েছিলেন জহরকুন্ডে। সেই ভরতবর্ষেই  নারীদের  সম্মান নিয়ে যেভাবে খেলা  করা  হচ্ছে তা দেখে চুপ থাকতে পারছেন না বিশেষজ্ঞমহল ।চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নারীসম্মান  নষ্টের  যে  নজির গড়েছে গত সপ্তাহে  তা  দেখে প্রতিবাদে  সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবী থেকে সাধরণ মানুষ সকলে।  

 চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেলে বেশ কিছু মহিলা স্নান  করছিলেন। তাদের স্নানের  সেই ভিডিও গোপনে রেকর্ড করে ভিডিওটি  ছেড়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেটে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ভিডিওতে থাকা  ছাত্রীর। প্রতিবাদস্বরূপ তারা  বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সের ৬ দিনের ক্লাসও বয়কট করে। গত ছয়দিন ধরে চলেছে ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ। অবশেষে সোমবারে  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়া  হলে তবে ছাত্রীদের বিক্ষোভ খানিকটা স্থগিত হয়। 

ছাত্রীদের দাবি মেনে নিয়েই ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ দুই ডরমেটরি ওয়ার্ডেন কে বরখাস্ত করে সোমবার । হোস্টেলের সময়বিধিরও পরিবর্তন করা হয়েছে। সমস্ত ওয়ার্ডেন পুনরায় নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। 


এই ঘৃণ্য কাজের জন্য  এখনও অব্দি সন্দেহভাজন  তিনজনকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে। তারা  হলেন ভার্সিটির এক ছাত্রী , তার  ২৩ বছরের হিমাচলি প্রেমিক এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে আরও একজন  ৩১ বছরের এক যুবক। 

৬০ জন মহিলার এই স্নানের ভিডিও কিভাবে নেওয়া হলো সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফাই  হোস্টলের ওই মেয়েটিই নাকি তার  প্রেমিককে পাঠনোর জন্য গোপনে বানিয়েছিলেন এই ভিডিও, তারপর সেই ভিডিও নাকি নিজেই তিনি পাঠিয়েছিলেন তার প্রেমিককে। মেয়েটির প্রেমিক তার বন্ধুদের সাথে ভিডিওটি শেয়ার করতেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পরে ইন্টারনেটে।  

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । "চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই  ঘটনায়  তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন ।  তিনি বলেন "আমাদের মেয়েরা আমাদের গর্ব। তাই  এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যেই দোষী হোক না কেন তার  বিরুদ্ধে  কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি প্রশাসনের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি। আমি সকলের কাছে আবেদন করছি। গুজব ছড়াবেন  না