সংক্ষিপ্ত

চাঁদে এক দিন সম্পন্ন হয় পৃথিবীর ১৪ দিনে। তার পর সূর্য ডুবে যায়। এই পর্বে সৌরশক্তি না মেলায় এবং প্রবল ঠান্ডার কারণে অকেজো হয়ে পড়বে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।

চন্দ্রপৃষ্টে ইতিমধ্যেই ১০ দিন কাটিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। আর চারদিন পরই রাত্রি পর্ব শুরু হবে চাঁদের। সেই সঙ্গে চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়বে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস সূর্যের আলো থাকে চাঁদে। চাঁদে এক দিন সম্পন্ন হয় পৃথিবীর ১৪ দিনে। তার পর সূর্য ডুবে যায়। এই পর্বে সৌরশক্তি না মেলায় এবং প্রবল ঠান্ডার কারণে অকেজো হয়ে পড়বে বিকেম ও প্রজ্ঞান। এই রাত্রি দশাও চলবে ১৪ দিন। রাত শেষে চাঁদে আবার সূর্য উঠলে বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে আবার বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব কি না, তা চেষ্টা করে দেখা যাবে। যদিও তার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।

বিক্রমের পেটে করে চাঁদে গিয়েছে মোট চারটি পেলোড। এগুলি হল,

  • রম্ভা - রেডিয়ো অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেন্সিটিভ আয়োনোস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার।
  • চ্যাস্টে - চন্দ্রাস সারফেস থার্মো ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট।
  • ইলসা - ইনস্ট্রুমেন্টস ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি
  • এলআরএ বা অ্যারে - দ্য লেসার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে

এই রাত্রিকালীন দশায় চাঁদের মাটিতে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভরসা হয়ে উঠতে পারে এই এলআরএ। এর কাজ শুরু হয় বাকিরা ঘুমিয়ে পড়লে। উল্লেখ্য, এই পেলোডটি বানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার গড্‌ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে এলআরএ। কোনও রকম বিদ্যুৎ বা সৌরশক্তি ছাড়াই কাজ করতে পারে এই এলআরএ। অন্যদের কাজ শেষ হলেই সে তার কাজ শুরু করবে।

কীভাবে কাজ করবে এলআরএ?

প্রতিফলিত লেজার রশ্মি ব্যবহার করবে এলআরএ। প্রতি ১.২৭ সেন্টিমিটার ব্যাসের মোট আটটি গোলাকার রেট্রোরিফ্লেক্টর রয়েছে। সেগুলি ৫.১১ সেন্টিমিটার ব্যাসের ১.৬৫ সেন্টিমিটার উঁচু একটি গোলাকৃতি প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত।

প্রসঙ্গত, চাঁদের মাটিতেই ঘুমিয়ে পড়বে ইসরোর পাঠান রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রম। ইতিমধ্যেই দুটিকে ঘুম পাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার সূর্য পথে পাড়ি দিয়েছেন আদিত্য এল১। তারপরই চন্দ্রযান ৩ নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন ইসরোর প্রধান সোমনাথ। তিনি বলেছেন এখনও পর্যন্ত প্রজ্ঞান আর বিক্রম কাজ করছেন। কিন্তু খুব দ্রুত তাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরোর বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই যন্ত্রপাতি নিয়ে এই কাজ শুরু করে দিয়েছে।