সংক্ষিপ্ত
ভাগ্যের ফেরে এই নামের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন ছত্তিশগড়ের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দারা। আপাতত নিন্দা, ঠাট্টা, দুর্নাম, অপবাদ এড়াতে এই গ্রামের অধিবাসীরা কোমর বেঁধে নেমেছেন।
রাফাল। এই ছোট্ট শব্দটির শক্তি কী তার হারে হারে টের পাচ্ছে গোটা দেশ। ফরাসী এই বিমানসংস্থা এই মুহূর্তে দেশব্যাপী ভোটের কেন্দ্রবিন্দু। ভাগ্যের ফেরে এই নামের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন ছত্তিশগড়ের একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দারা।
ছত্তিশগড়ের মহাসামুন্দ অঞ্চলের মাত্র ২০০ অধিবাসীর এই ছোট্ট গ্রামের নামও রাফাল। নিন্দা, ঠাট্টা, দুর্নাম, অপবাদ এড়াতে এই গ্রামের অধিবাসীরা কোমর বেঁধে নেমেছেন। গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক অধিবাসী, ৮৩ বছর বয়েসি ধর্ম সিংহ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানাচ্ছেন, "মানুষ আমাদের নিয়ে তামাশা করছে, ভয় দেখাচ্ছে। বলছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আমাদের গ্রামেও জিজ্ঞেসাবাদ হবে। আমরা গ্রামের নাম বদলে ফেলতে চাই। এই মর্মে অনুরোধ জানাতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর দেখা পাইনি।"
ধর্ম সিংহের গলায় একরাশ অনুযোগ, আমাদের কথা কেউ ভাবে না। আমাদের কাছে কেউ আসে না। আমাদের গ্রামের নাম আমাদের বদনাম করছে। কিন্তু কারও কিছু এসে যায় না। কয়েকদিন আগে বিজেপির কয়েকজন সদস্য এসেছিল, কিন্তু তাঁরা একেবারেই ছোটখাটো মাথা। ক্ষমতা যেই আসুক আমরা চাই আমাদের নামটা বদলে যাক। "
প্রসঙ্গত ১৮ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী হিসেবে সিটিং ক্যান্ডিডেট চন্দুলাল সাহুকেই বেছে নিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেসের ধনেন্দ্র সাহু এবং বহুজন সমাজ পার্টির ধানসিং কোশারিয়া।
এলাকায় জল ও নিকাশির সমস্যা রয়েছে। চাষাবাদ পুরোটাই নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। ভোটে জিতে যিনি আসবেন, তাঁর থেকে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করছেন না রাফালের বাসিন্দারা। তবে নামবদলের আশায় ২৩ মে পর্যন্ত বুক বেঁধে রয়েছেন রাফালের বাসিন্দারা।