সংক্ষিপ্ত

তরুণ স্থানীয় এক তরুনীর প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু কোনও দিনও তরুণী ওই তরুণের প্রস্তাবে রাজি হননি।  তরুণীর বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়ে গিয়েছিল। 

প্রেমিকা তাঁকে বিয়ে করতে রাজি নয়। সেই জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিল ছত্তিশগড়ের এক তরুণ। তবে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর প্রেমিকালে একটি চিঠি লিখে গেছেন। তাতে লিখেছেন ' আমার মৃত্যু তোমার বিয়ের উপহার।' এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছত্তিশগড়ের বালোদ জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। 

খবরে বলা হয়েছে, তরুণ স্থানীয় এক তরুনীর প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু কোনও দিনও তরুণী ওই তরুণের প্রস্তাবে রাজি হননি।  তরুণীর বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সেইমত প্রস্তুতিতও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা যখন এই তরুণ জানতে পারেন তা তিনি মেনে নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বারের জন্য তরুণীর কাছে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তরুণী রাজি হয়নি। এই ঘটনার পরই তরুণ হতাশাগ্রস্ত হতে পড়েন। মেলামেশা বন্ধ করে দেন। নিজেকে প্রায় গৃহবন্দি করে রেখে দেন। সেই ঘরে বন্দি অবস্থাতাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

মৃত্যুর আগে তরুণ নিজের ঘরের দেওয়ালে কাঠকলয়া দিয়ে লিখে গিয়েছিলেন, 'আমার মৃত্যু তোমার বিয়ের উপহার। আমি তোমাকে ভালোবাসি।' হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস হিসেবেও তিনি নিজের আত্মহত্যার ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি যে ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সেখানেই ক্যামেরা ফিট করে আত্মহত্যার ঘটনাও শ্যুট করেছিলেন। আর তা লাইভ করেন। 

বালোদের পুলিশকর্তা প্রতীক চতুর্বেদি জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে যুবকের মৃতদেহ। ভিডিওটি ঘিরেও যথেষ্ট আলোড়ন তৈরি হয়েছে। হোয়াটঅ্যাপের ভিডিওটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থাকে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। 


প্রতি বছরই এই দেশে অনেক মানুষ মানসিক হতাশার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।  আধুনিক সময় অনেকেই একাকীত্বের কারণে আত্মহত্যা করে। ফেসবুক বা হোটায়াটসঅ্যাপে স্টেটাস বদল করে আত্মহত্যা করে। এই সময় বাস্তব পরিস্থিতি বা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াওয়ের চেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া অনেকটাই সোজা হয়ে গেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মনোবীদরা। তাঁদের কথায় প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ায়ই মূল লক্ষ্য । আর সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ায়ই মানুষের অন্যতম লক্ষ্য। মানুষের হতাশা কাটানোর জন্য় উদ্যোগীয় হয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। তাঁরা বিনামূল্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপশি মূল্যবান পরমর্শও দিয়ে থাকে। আত্নহত্যা কমানোর জন্য একাধিক সচেতনা শিবিরেরও ব্যবস্থা করেন তাঁরা।