সংক্ষিপ্ত
Chhattisgarh Naxal Encounter: সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৬ জন নকশাল নিহত এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য সরানো হয়েছে।
Chhattisgarh Naxal Encounter: ছত্তিশগড়ের সুকমায় নকশালদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কেরলাপাল এলাকায় সংঘর্ষে ১৬ জন নকশালকে খতম করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ, এমনটাই জানিয়েছেন সুকমার এসপি।
সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চ্যাবন ১৬ জন নকশালের দেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "অপারেশনে আমাদের দুই জওয়ান আহত হয়েছেন এবং তাঁদের চিকিৎসার জন্য পাঠান হয়েছে।" তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেল, সেলফ-লোডিং রাইফেল (এসএলআর) এবং ইনস্যাস রাইফেল-সহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের একটি বড় সম্ভার উদ্ধার করেছে। এসপি চ্যাবন আরও বলেন, "সুকমা এই পর্যন্ত যতগুলি এনকাউন্টার দেখেছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম বড় ঘটনা বলা যেতে পারে।" কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত নকশালদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার নকশাল বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পরেই গুলির লড়াই শুরু হয়। কর্মকর্তারা জানান, সুকমা থানা এলাকার কেরলাপাল অঞ্চলে নকশালদের উপস্থিতির নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। যৌথ দলটি ২৮ মার্চ তল্লাশি অভিযানের জন্য রওনা হয় এবং শনিবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকে দফায় দফায় গুলি বিনিময় শুরু হয়।
বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনী এনকাউন্টার স্থল এবং তার আশেপাশে জঙ্গলে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে। ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে সুকমা অন্যতম, যেখানে অতীতে বেশ কয়েকবার নকশাল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে শুক্রবার, ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় নকশালদের পাতা একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে এক জওয়ান আহত হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বস্তারের আইজি জানান, প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত জওয়ানের অবস্থা স্থিতিশীল। এর আগে ২২ মার্চ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানান যে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৬,৪৬৩টি, কিন্তু গত দশ বছরে এই সংখ্যা ৫৩ শতাংশ কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১,৮৫১ জন নিরাপত্তা কর্মী শহীদ হয়েছেন, কিন্তু গত দশ বছরে নিহত নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা কমে ৫০৯-এ দাঁড়িয়েছে, যা ৭৩ শতাংশ কম। বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪,৭৬৬ থেকে কমে ১,৪৯৫ হয়েছে, যা ৭০ শতাংশ হ্রাস।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নকশাল-অধ্যুষিত এলাকায় ১১,৫০৩ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২০,০০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২,৩৪৩টি মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২,৫৪৫টি টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৪,০০০ মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজ চলছে। শাহ উল্লেখ করেন যে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো নকশাল-অধ্যুষিত অঞ্চলে মোবাইল সংযোগ স্থাপন করা হবে।