টানা ১১০ ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পরে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় ২ বছরের শিশু ফতেবীর সিংকে।   কিন্তু কুয়ো থেকে ওঠানো গেলেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।  শিশুটির এই মর্মান্তিক পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং দুঃখপ্রকাশ করেছেন। 

২০০৬ সালে একটি গভীর কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পরে টানা ২ দিনের চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত পঞ্জাবের সাঙরুর জেলায়। টানা ১১০ ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পরে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় ২ বছরের শিশু ফতেবীর সিংকে। কিন্তু কুয়ো থেকে ওঠানো গেলেও হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 

Scroll to load tweet…

গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ খেলতে খেলতে হঠাৎই ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় ফতেবীর। কুয়োর মুখটি একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তাই দেখতে না পেয়ে শিশুটি তার মধ্যে পড়ে যায়। সেই শিশুকেই টানা পাঁচদিন পরে, আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার সময়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চেষ্টায় ফতেবীরকে উপরে তুলে আনা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই শিশুকে আর বাঁচানো যায়নি। 

Scroll to load tweet…

/p>

এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়োর পাশেই পাঁচ দিন ধরে একটি চপারের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন, যাতে শিশুটিরে তোলা গেলেই তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত সড়কপথেই ১৪০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

শিশুটি যে কুয়োতে পড়ে গিয়েছিল সেটি ১৫০ ফুট গভীর ছিল। ফলে এই পাঁচদিন খাবার বা জল কিছুই তাকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। শুধু অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা গিয়েছিল। তা ছাড়া এই টানা পাঁচদিন শিশুটিকে গরমের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। 

শিশুটির এই মর্মান্তিক পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং দুঃখপ্রকাশ করেছেন।