সংক্ষিপ্ত

  • অরুণাচলপ্রদেশের অনেকটা ভিতরে ঢুকে এসেছে চিন
  • প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার ভারতীয় এলাকা এখন চিনের দখলে
  • লোকসভার জিরো আওয়ারে এমনই দাবি করলেন অরুণাচল পূর্বের বিজেপি সাংসদ
  • ভবিষ্যতে ওই অংশে ডোকালামের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি

 

দিন কয়েক আগেই অরুণাচলপ্রদেশ সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই সময় চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত চুড়ান্ত নিয়ে জামেলা রয়েছে বলে মানলেও, রাজনাথ দাবি করেছিলেন ভারত ও চিন দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমেই এই সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেবে। কিন্তু মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে, জিরো আওয়ারে এক বিজেপি সাংসদই দাবি করলেন সীমান্ত থেকে ভারতের দিকে ৫০-৬০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে চিন।

এদিন জিরো আওয়ারে অরুণাচল পূর্বের সাংসদ তাপির গাও দাবি করেন, অরুণাচলপ্রদেশে সীমান্ত পেরিয়ে ক্রমেই দখল বাড়াচ্ছে চিন। তিনি জানান, সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখদের অরুণাচলপ্রদেশে আসা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল চিন। এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতিও দিয়েছে তারা।

তিনি আরও জানান, যে জায়গাটি দখল করে নিয়েছে চিন , সেখানেই একসময় সেনার ক্যাপ্টেন হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার বিদেশমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৭ সালে সিকিমের ডোকালাম-এ সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বে ভারত-চিনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। টানা ৭৩দিন ধরে দুই পক্ষের সেনাই মজুত ছিল ওই অংশে। পরে দুইপক্ষই অবশ্য সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। বিজেপি সাংসদ তাপির গাও-এর দাবি, ভবিষ্যতে যদি ভারত ও চিনের মধ্যে ফের ডোকালাম-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে তা হবে অরুণাচলপ্রদেশেই।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই বিষয়ে প্রথম সতর্ক করেছিলেন তাপির গাও। অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ দাবি করেছিলেন অরুণাচলের ৫০-৬০ কিলোমিটার ভিতরে চিনের সেনা একটি ব্রিজ বানিয়েছে। এইভাবেই অরুণাচল দখলের চেষ্টা করছে চিন বলে দাবি করেছিলেন গাও। তবে সেই দাবি মানতে চায়নি ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাদের দাবি ছিল ওই অংশে কড়া নজরদারি রয়েছে। আর এই ধরণের অনুপ্রবেশ রুখতে চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সামরিক বোঝাপড়া রয়েছে।