সংক্ষিপ্ত
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি এই বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া G20 বৈঠকটি মোদী-জিনপিং বৈঠকের জন্য বেশি উপযুক্ত। এসসিও-তে চিন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বেজিংকে আবারও কড়া বার্তা দিতে পারে ভারত।
সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে চর্চা চলছে। তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনার বাজার উত্তপ্ত। চিনও এই বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করেছে, কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) নিয়ে চলা বিরোধের কারণে ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষ। অর্থাথ চিনের দুমুখো নীতিতে বিরক্ত নয়াদিল্লি এই বৈঠক নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছে না বলেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
এবারের SCO সম্মেলনের আলোচ্যসূচি আঞ্চলিক শান্তি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা। তবে এজেন্ডা ছাড়াও মোদী-জিনপিং এবং মোদি-শাহবাজ বৈঠক নিয়ে জল্পনা চলছে। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডেইলি জং-এর মতে, ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে SCO শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবেন এই সংগঠনের নেতারা। ওই সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। এই সময় শাহবাজ শরিফ চিন, রাশিয়া, ইরানের রাষ্ট্রপতিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি এই বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া G20 বৈঠকটি মোদী-জিনপিং বৈঠকের জন্য বেশি উপযুক্ত। এসসিও-তে চিন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বেজিংকে আবারও কড়া বার্তা দিতে পারে ভারত।
আরও পড়ুন - মুখোমুখি হবে ভারত পাকিস্তান? আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদীর সামনে শাহবাজ শরিফ
সরকারি সূত্রের মতে, বন্যার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পাঠানো বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, তবে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই চলে।
এদিকে, পাক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ জুলাই বৈঠকে সংস্থাটির বিদেশমন্ত্রীরা একমত হয়েছেন যে তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীরা এসসিও বৈঠকে যোগ দেবেন। তাসখন্দে বৈঠকে যোগদানকারী পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন যে পাকিস্তান ও ভারতীয় নেতাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত নয়। এদিকে, সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে চিন ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সরকারকে জানিয়েছে যে একটি চিনা উত্পাদনকারী সংস্থা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) তাদের অফিস তৈরি করেছে। এর সাথে, এটি মুজাফফরাবাদ এবং আথমুকাম সংলগ্ন অঞ্চলে যে কাজ চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরসুমে একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করল দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, দেখে নিন এক ঝলকে
বেজিং এর আগে রাজস্থানের বিকানেরের সামনে পাকিস্তানের মাটিতে তার সেনা এবং অত্যাধুনিক মেশিন পাঠিয়েছিল। এখানে একটি ফরোয়ার্ড এয়ারবেস আপগ্রেড করা হয়েছিল এবং ৩৫০টিরও বেশি পাথরের বাঙ্কার এবং বর্ডার আউটপোস্টগুলিকে সংস্কার করা হয়েছিল। এই সব বিষয় নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা হবে কিনা, তা জানা যায়নি।