সংক্ষিপ্ত
১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে SCO শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবেন এই সংগঠনের নেতারা। ওই সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর।
খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠক হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে দেখা করতে পারেন।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডেইলি জং-এর মতে, ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরকন্দে SCO শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবেন এই সংগঠনের নেতারা। ওই সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। এই সময় শাহবাজ শরিফ চিন, রাশিয়া, ইরানের রাষ্ট্রপতিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ জুলাই বৈঠকে সংস্থাটির বিদেশমন্ত্রীরা একমত হয়েছেন যে তাদের দেশের বিশিষ্ট নেতাদেরও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে হবে। তবে, তাসখন্দে বৈঠকে যোগদানকারী পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন যে পাকিস্তান ও ভারতীয় নেতাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত নয়। এদিকে, সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে চিন ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সরকারকে জানিয়েছে যে একটি চিনা উত্পাদনকারী সংস্থা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) তাদের অফিস তৈরি করেছে। এর সাথে, এটি মুজাফফরাবাদ এবং আথমুকাম সংলগ্ন অঞ্চলে যে কাজ চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
গোয়েসংস্থাগুলো জানিয়েছে, চিনা কোম্পানি মে মাস থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য নতুন বাঙ্কার সংস্কার ও নির্মাণ করছে। চিনা কোম্পানিগুলি আগেও PoK-তে নির্মাণ কাজ করেছে, কিন্তু এই প্রথমবার এমন একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে যা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নেওয়া হয়েছে। এই এলাকাটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকা সংলগ্ন কেল সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৩২ ডিভিশনের আওতায় পড়ে।
বেজিং এর আগে রাজস্থানের বিকানেরের সামনে পাকিস্তানের মাটিতে তার সেনা এবং অত্যাধুনিক মেশিন পাঠিয়েছিল। এখানে একটি ফরোয়ার্ড এয়ারবেস আপগ্রেড করা হয়েছিল এবং ৩৫০টিরও বেশি পাথরের বাঙ্কার এবং বর্ডার আউটপোস্টগুলিকে সংস্কার করা হয়েছিল। এই সব বিষয় নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা হবে কিনা, তা জানা যায়নি।
এরই সঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, সেপ্টেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে কোনো বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই এসসিওর অংশ এবং উভয় দেশই কেবল সংস্থার বৈঠকে অংশ নিচ্ছে। আলাদা করে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন কীনা, তা নিয়ে এখন সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি।