সংক্ষিপ্ত
রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিনা ডোনেশন
বিজেপির নিশানায় এবার কংগ্রেস
অ্যানুয়াল রিপোর্ট তুলে ধরে সমালোচনা
চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনা সেনাদের ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লাদাখ ইস্যুতে এইভাবে কংগ্রেস নিশানা করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এবার সেই 'চিন'কেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণে নামল বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির অভিযোগ রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করেছে কংগ্রেস।
বিজেপির আরও অভিযোগ ২০০৫-০৬ সালে এই আর্থিক সহায্য গ্রহণ করা হয়েছিল। রাজীব গান্ধী ফাউন্সেশনের চেয়ারপার্সেন সনিয়া গান্ধী। বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মনমোহন সিং ও পি চিদম্বরম। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের অ্যানুয়াল রিপোর্টকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে পিপিলস রিপাব্লিক অব চায়নার নাম করেই ডোনেশন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জানান হয়েছে সাধারণ ডোনেশন হিসেবেই নথিভুক্ত করা হয়েছে।
জয়প্রিয় ফেয়ারনেস ক্রিমে আর থাকছে না 'ফেয়ার', বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল বহুজাতিক সংস্থা .
লাদাখে আরও সেনা বাড়াচ্ছে ভারত, রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু সীমান্তে ...
আর এই ডোনেশনকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধ হুংকার ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর অভিযোগ, চিনের থেকে কী এই টাকা ঘুস নিয়েছিলে কংগ্রেস সরকার। এই টাকা ঘুস দিয়েই কী চিন ভারতের সঙ্গে বিনামূল্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তাঁর আরও অভিযোগ সরকারি রেকর্ডে কোথাও এই ডোনেশনের কথা নথিভুক্ত করা নেই। পাশাপাশি তিনি সরাসরি জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস কি চিনের থেকে টাকা নিয়েছে? আর যদি নিয়েই তাকে তাহলে সেই টাকা কী করা হয়েছে ?
জরুরি আবস্থা নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, বললেন বিরোধীদের ত্যাগ মনে রাখবে দেশ ... R
গতসপ্তাহ থেকেই চিনকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে বিজেপি। ২০০৮ সালে একটি ছবি তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে রীতিমত ভালো সম্পর্ক রয়েছে কংগ্রেসের। যার প্রমাণ সেই ছবি বলেও দাবি করা হচ্ছে। পাল্টা উত্তর দিয়েছে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বচ্ছ পদ্ধতিতেই চিনের থেকে ডোনেশন গ্রহণ করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ নথি সংস্তার ওয়েবসাইটে রয়েছে। নিয়ম মেনে ডোনেশন নেওয়া হয়েছে। তাই কংগ্রেসকে কখনই দেশবিরোধী আখ্যা দেওয়া যায় না। বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা ২০১২-১৩ সালে চিনের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিগুলি নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে।