সংক্ষিপ্ত
- প্যাংগং থেকে দ্রুত গতিতে সেনা সরাচ্ছে চিন
- সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ভারতও
- চলতি সপ্তাহে শেষ হতে পারে সব কাজ
- তারপরই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে দোপসাং নিয়ে
দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান করে থাকা চিনা সেনার দখল মুক্ত হল প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন চার নম্বর আঙুল। ইতিমধ্যেই প্যাংগংএর ধার থেকে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সমস্ত সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হয়েছে বলে সূত্রেরখবর। বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ রূপে খালি হয়েছে। ভারতীয় ও চিনা সেনারা বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে রীতিমত দ্রুতগতিয়ে সরে যাচ্ছে বলে খবর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, চার নম্বর আঙুলের বেশ কিছু জায়গায় চিনা সেনার জমায়েত রীতিমত হালকা হয়ে গেছে। ডিসএনগেজমেন্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে ফিঙ্গার ও ৫ ও ৮ এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিকাঠামোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্যাংগং লেকে যে নৌকা মোতায়েন করা হয়েছিল সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় অস্থিরতা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ৫ ও ৬ নম্বর আঙুলের মধ্যে জেটি তৈরি করেছিল চিন। চার নম্বর আঙুল থেকে কিছু দূরে ছিল ওই জেটিগুলি। সেখানে মোতায়েন ছিল অত্যাধুনির নৌযান। সেগুলিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
লাদাখের আসল নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অবস্থিত প্যাংগং হ্রদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার অঞ্চলটি ৫টি আঙুলে বিভক্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ৮ নম্বর আঙুল পর্যন্ত এলাকাকে নিয়েজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু ভারতের এই দাবি মেনে নিতে রাজি নয় চিন। অন্যদিকে চিনা সেনা সরে যাওয়ার পরই ভারতেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সূত্রের খবর, প্যাংগং-এ যেসব এলাকায় ভারত ও চিনের ট্যাঙ্কগুলি ১০০ মিটার দূরে অবস্থান করছিল এতদিন সেগুলি বর্তমানে কয়েক কিলোমিটার পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী চিন ফিঙ্গার চার আঙুলের পিছনে চলে যাবে। আর ভারত তিন নম্বর আঙুলে ধনসিং থাপা পোস্টে অবস্থান করবে।
সূত্রের খবর চলতি সপ্তাহেই প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হবে। চারপরই হটস্প্রিং, দোপসাং, গোগরা এলাকায় দুই দেশ সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ করবে। দোপসাং সমভূমিতে প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জুড়েই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই একটি ভারত চিন দুই দেশের মধ্যে একটি সামরিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র। সেই বৈঠকেই সেনা সরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেও সূত্রের খবর।