সংক্ষিপ্ত

পুলিশ আরও জানিয়েছে ওই মহিলা ২০১৯ সালে ভারতে আসে। তথ্য সংগ্রহের জন্য নাম ভাঁড়িয়ে বেশ বদল করে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এমনকী বৌদ্ধ ভিক্ষুর মতো মাথা কামিয়ে নিয়েছিল ওই মহিলা, যাতে সহজে কেউ বুঝতে না পারে। 

এবার কি ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য মহিলাদের ব্যবহার করছে চিন? শুক্রবারের ঘটনা তো তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকা থেকে এক চিনা মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাল পরিচয়পত্র নিয়ে ভারতে লুকিয়ে থাকা এবং 'দেশবিরোধী কার্যকলাপে' যুক্ত থাকার অভিযোগে এই চিনা মহিলাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, ওই নারী ভারতে গুপ্তচরবৃত্তি করতে এসেছিল। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম কাই রুও। মহিলা চিনের হাইনান প্রদেশের বাসিন্দা। দিল্লির মজনুর টিলা এলাকায় নেপালি সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে বসবাস করছিল ওই মহিলা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, নেপালের নাগরিক বলে পরিচয় দিয়ে ওই চিনা মহিলা বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাজে দিল্লিতে বসবাস করছিল। ওই মহিলার কাছ থেকে পাওয়া নাগরিকত্ব সনদে তার নাম লেখা ছিল ডলমা লামা। পরিচয়পত্রে ওই মহিলা তার ঠিকানা দিয়েছে নেপাল কাঠমান্ডু। পুলিশ আরও জানিয়েছে ওই মহিলা ২০১৯ সালে ভারতে আসে। তথ্য সংগ্রহের জন্য নাম ভাঁড়িয়ে বেশ বদল করে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এমনকী বৌদ্ধ ভিক্ষুর মতো মাথা কামিয়ে নিয়েছিল ওই মহিলা, যাতে সহজে কেউ বুঝতে না পারে। যখন ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন জানা যায় যে ওই মহিলা আসলে একজন চিনা নাগরিক

ওই মহিলা সবসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতো ঐতিহ্যবাহী গাঢ় লাল পোশাক পরত। তাকে পুলিশ উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকা হল আদতে একটি তিব্বতি উদ্বাস্তু কলোনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকা এই এলাকা পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়। ১৭ অক্টোবর চিনা মহিলার বিরুদ্ধে ১২০ বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ৪১৯ (ছদ্মবেশ নিয়ে প্রতারণা), ধারা ৪২০ (প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা), ৪৬৭ (নিরাপত্তা হিসাবে জালিয়াতি) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ আরও তদন্ত করছে। এ এলাকায় তার আর কোনো সহযোগী আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এরই সঙ্গে ওই মহিলা কেন এখানে নাম ভাঁড়িয়ে গা ঢাকা দিয়ে ছিল, তা জানতে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ওই মহিলাকে ব্যবহার করা হলে, তার কাছে কি কি তথ্য গিয়ে পৌঁছেছে, সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা চলছে। 

আরও পড়ুন-
টাকার দাম কমে লাফ দিয়ে বেড়ে গেল ডলারের দর, ভারতে আরও বাড়বে জিনিসপত্রের দাম?
রাতের অন্ধকারে ১৪৪ ধারায় খালি হয়ে গেল সল্টলেকের প্রতিবাদস্থল, টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়া হল টেট উত্তীর্ণদের
একাধিক খুন ধর্ষণে অভিযুক্ত রাম রহিম সিং, তাঁরই ‘সৎসঙ্গে’ ভিড় জমালেন বিজেপি নেতারা!