সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানে ভারতীয় কোনও সাবমেরিনকে আটকাতে পারে না, কারণ ভারতীয় সাবমেরিন পাক জলসীমায় প্রবেশ করেইনি।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগ আনার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার ইসলামাবাদের মুখোশ খুলল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার পাকিস্তান দাবি করেছিল গত শনিবার (১৬ অক্টোবর) নাকি, ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) একটি ডুবোজাহাজকে(Indian submarine) তাদের জলসীমানা (territorial waters) অতিক্রম করার মুখেই সনাক্ত করেছিল পাকিস্তান এবং তারপর সেই সাবমেরিনটিকে তাদের জলে ঢুকতে বাধা দেয়।
এই ঘটনা যে সর্বৈব মিথ্যা তা জানিয়ে দিল ভারত। পাকিস্তানে ভারতীয় কোনও সাবমেরিনকে আটকাতে পারে না, কারণ ভারতীয় সাবমেরিন পাক জলসীমায় প্রবেশ করেইনি। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করছে ইসলামাবাদ(claim of Pakistan Navy not credible ) বলে দাবি ভারতের। সাবমেরিনের জলগত অবস্থান প্রকাশ করে নয়াদিল্লি দাবি করেছে পাকিস্তানের আঞ্চলিক জল সীমা তার উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। তার ধারে কাছেও ছিল না ভারতীয় সাবমেরিন। অহেতুক লাইমলাইটে আসার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
বুধবার ভারতীয় সাবমেরিনের অবস্থানগত তথ্য প্রকাশ করে ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে সাবমেরিনের অবস্থান করাচি বন্দর থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল যা পাকিস্তানের জলসীমার বাইরে। যদিও পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে কোনও সরকারি মন্তব্য মেলেনি। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৬ অক্টোবর একটি ঘটনা ঘটেছিল যখন একটি ভারতীয় সাবমেরিনকে সনাক্ত করে পাকিস্তান নৌবাহিনীর নজরদারি বিমান।
পাক নৌসেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌবাহিনী ১৬ই অক্টোবর ভারতীয় সাবমেরিনকে পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়। দেশের সামুদ্রিক সীমান্তের সুরক্ষার জন্য কঠোর নজরদারি চালানোর সময় ভারতীয় সাবমেরিনটিকে দেখা যায়। পাকিস্তানের দাবি ছিল এটি এই ধরনের তৃতীয় ঘটনা। এই তৃতীয় বার ভারতীয় নৌ -সাবমেরিনকে পাকিস্তান নৌবাহিনীর লং রেঞ্জ মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সনাক্ত করে এবং ট্র্যাক করে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই ঘটনা সম্পর্কে একটি ফুটেজও শেয়ার করে। তবে গোটা বিষয় উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ভারতীয় নৌবাহিনির এক সূত্র, পাকিস্তানের এই দাবি খারিজ করে বলেছে, কোনও পেশাদার নৌবাহিনী যখন শত্রু অঞ্চলে টহলদারি অভিযান পরিচালনা করে, তখন পুরোপুরি জলের নিচ দিয়ে যায়। পেরিস্কোপের গভীরতায় যায় না। ভারতীয় সূত্রে এই ভিডিওটিকে ভুয়ো ভিডিও বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বছর দুয়েক আগেও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী একটি ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করে একই ধরনের দাবি করেছিল।
এর আগেও একাধিক দেশের সামনে বিশ্ব ফোরামে মিথ্যা ছড়ানোর পাকিস্তানের মরিয়া প্রচেষ্টার উত্তর ভারত দিয়ে এসেছে। ভারতকে কলুষিত করার মরিয়া চেষ্টা চালানো ছাড়া পাকিস্তানের আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। এদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দেওয়ার দাবি তোলে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান জম্মু -কাশ্মীর এবং লাদাখ সম্পর্কিত ভারতের বিরুদ্ধে অসংখ্য অস্পষ্ট অভিযোগ করেছে। এগুলি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত, তাই এগুলির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না নয়াদিল্লি।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই পাওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে, ফের সখ্যতা বাড়ছে পাকিস্তান ও চিনের। বড়দাদা চিনের হাত ধরে আবার প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতার পথে নামতে তৈরি হচ্ছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে চিনের থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম কিনতে চলেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনার হাতে খুব তাড়াতাড়ি ওই অস্ত্র পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে। চিন থেকে ট্যাঙ্ক, বন্দুক, যুদ্ধের নানা সরঞ্জাম, প্রযুক্তিগত সাহায্য পাচ্ছে পাকিস্তান।