সংক্ষিপ্ত
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাদের পতাকা উত্তোলন করা উচিত তা নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হওয়ার ফলে রীতিমত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চার মাস ধরে মসজিদ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তবে আলোচনার পর উভয় পক্ষই একটি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
মঙ্গলবার ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, কেরলের কাসারগোডেতে দেখা গেল অদ্ভুত ছবি। এই এলাকার ইরুথুমকাদাভুতে জামাত মসজিদের দুটি দল জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে মারামারি শুরু করে। তাদের মধ্যে কারা পতাকা উত্তোলন করবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাদের পতাকা উত্তোলন করা উচিত তা নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হওয়ার ফলে রীতিমত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চার মাস ধরে মসজিদ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তবে আলোচনার পর উভয় পক্ষই একটি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে একসঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো ১৫ আগস্ট, মসজিদে পতাকা উত্তোলনের একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল গোটা অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন করা যাবে।
তবে কার পতাকা উত্তোলন করা উচিত তা নিয়ে আবারও মতানৈক্য দেখা দেয়। উভয় পক্ষ একসঙ্গে পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করায় বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
তারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিস্টিকফের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিদ্যানগর থানার পুলিশ।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় তিনি গত ৭৬ বছরে ভারতের অর্জনগুলি তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেছেন যে প্রত্যেক ভারতীয়ের বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে তাদের দেশের অবস্থানের জন্য অত্যন্ত গর্বিত হওয়া উচিত। যাইহোক, তিনি আসন্ন বছরগুলিতে বিজ্ঞান, সমাজ এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির তাত্পর্যের উপর জোর দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৫ আগস্ট) ভারত তার ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লির লাল কেল্লায় ১০তম বারের জন্য ভাষণ দেন। স্বাধীনতা দিবসের লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণ থেকেই ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের ভাষণে ২০২৪ সালের নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কারণে তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে তা যেমন তুলে ধরেন, তেমনই প্রধানমন্ত্রী বলেন আগামী দিনে তাঁর সরকারের কী কী কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, জনগণের আশীর্বাদ থাকলে তিনি আবারও আগামী বছর লালকেল্লায় ফিরে আসবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আগামী পাঁচ বছর অভূতপূর্ব উন্নয়নের। ২০৪৭ সালের স্বপ্ন পুরণে সবথেকে বড় সোনালি মুহূর্ত হতে চলেছে আগামী পাঁচ বছর। পরের বর ১৫ অগাস্ট আবারও আপনাদের সামনে দেশের সাফল্য আর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরব।' ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ঐতিহাসিক লালকেল্লা থেকেই লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।