সংক্ষিপ্ত

এত কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক কারণে মৃত্যু রীতিমত অবাক করেছে সকলকে। উল্লেখ্য সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী।

একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে ওঠার পর সেদিনই ছিল স্কুলের প্রথম ক্লাস। তবে সেই দিনই শেষ ক্লাস হল দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া স্বার্থকের। ক্লাস চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বার্থক। বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকে। সারা শরীর দরদর করে ঘামতে থাকে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। পথেই মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার। হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক-এর কারণেই মৃত্যু হয়েছে স্বার্থকের। এত কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক কারণে মৃত্যু রীতিমত অবাক করেছে সকলকে। উল্লেখ্য সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের ছত্তরপুরের। সোমবারই নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছিল স্বার্থক টিকরিয়া। প্রথম দিন স্কুলে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বার্থক। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় স্বার্থকের পরিবারের লোকজন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও বাঁচানো সম্ভব হল না তাঁকে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই মৃত্যু হয় যুবকের।

ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে যুবজের বাড়ির লোক। ছেলের এ হেন পরিণতির কথা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা। এরই মধ্যে ছেলের কর্নিয়া দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বার্থকের বাবা। কান্না ধরা গলায় তিনি জানালেন,'যদি আরও একটু দ্রুত ছেলেকে হাসপাতালে পৌঁছনো যেত। স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের কাছে খবর আসা মাত্রই ছুটে যাই। কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে হাসপাতালের দোতলায় পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে সব শেষ।' তিনি আরও জানান,'জীবনের শেষ মুহূর্তে আমার হাত ধরে ছেলে বলছিল, বাবা আমায় বাঁচাও।'