সংক্ষিপ্ত

কুল্লুর নির্মান্দ ব্লক, কুল্লুর মালানা ও মান্ডি জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তুমুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি, স্কুল ও হাসপাতাল। তিনটি স্থানেই নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৩৫ জন। বাজারে একটি দেহ মিলেছে।

হিমাচল প্রদেশ এখন ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। কুল্লুর নির্মান্দ ব্লক, কুল্লুর মালানা ও মান্ডি জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তুমুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি, স্কুল ও হাসপাতাল। তিনটি স্থানেই নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৩৫ জন। বাজারে একটি দেহ মিলেছে। হড়পা বানের পর আজ মান্ডি এলাকার সমস্ত স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মান্ডির থালতুখোদে মধ্যরাতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। এখানে বাড়ি ধসের তথ্য রয়েছে। SDRF ও অন্যান্য দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। থালতুখোদ পঞ্চায়েত প্রধান কালি রাম জানিয়েছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে তেরং ও রাজবন গ্রামে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তিনটি বাড়ি ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পধার মহকুমার থালতুখোদে নয়জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মান্ডি জেলা প্রশাসন উদ্ধারের জন্য বিমান বাহিনীকে সতর্ক করেছে। সাহায্যের প্রয়োজন হলে পরিষেবাগুলি চাওয়া হবে৷ সাহায্যের জন্য এনডিআরএফকেও অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও মেঘ ফেটে শিমলা-কুল্লু সীমান্তে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি, স্কুল ও হাসপাতাল। অনেক লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। SDRF টিম ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, কুল্লুর নির্মন্দ এলাকায় মেঘ ফেটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৯ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।

নির্মন্দ ব্লকের ঝাকড়ির সমেজ খাদে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়।জেলা প্রশাসক অনুপম কাশ্যপ জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দলে আইটিবিপি, বিশেষ হোম গার্ড দলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, উদ্ধারকাজে সব দল একসঙ্গে কাজ করছে।

কুল্লু জেলার মালানা ওয়ান এবং মালানা টু পাওয়ার প্রজেক্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারি বর্ষণের পর পার্বতী নদীর জলও বিপদসীমার ওপরে বেড়েছে। জিয়া, ভুন্তারসহ নদীর তীরবর্তী এলাকার সব এলাকার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাস ও তীর্থন নদীতেও জল বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।