সংক্ষিপ্ত

  • ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন 
  • আকাশপথে পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী 
  • দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক 
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হবে কলাইকুন্ডায় 

আজ ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত ওড়িশা ও বাংলার বিস্তার্ণ এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই ভূবনেশ্বের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি।  এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই রাজ্যের মুথ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঝড় বিধ্বূস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি আর ত্রাণ বন্টন নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারে। সূত্রের ভর ভূবনেশ্বের কথা বলবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে। আর কলাইকুণ্ডায় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটিতে তিনি কথা বলতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।  

এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলাইকুণ্ডায় বায়ু সেনার বিমানঘাঁটিতে হতে পারে বৈঠক। আজই  ঝড় বিধ্বস্ত মেদিনীপুর পরিদর্শন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর আকাশপথে ওড়িশা ও বাংলার পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখেই কলাইকুন্ডায় অবতরণ করবে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার। বেলা আড়াইটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। এদিন কলাইকুন্ডা বিমান বন্দরে তাঁকে অর্ভ্যথনা জানাতেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় যেতে পারেন।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন দুপুর দুপুর ১২টা১৫ মিনিট থেকে ২টো ১৫ মিনিট প্রায় দুঘণ্টা ধরে আকাশ পথে  বাংলা ও ওড়িশার সাইক্লোন যশ (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। আকাশপথেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রত্যক্ষ করবেন। তবে তার আগেই ভূবনেশ্বরে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। বেলা ১১টা নাগাদ সেই বৈঠক হতে পারে। থাকতে পারেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক আর কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। 

গত বুধবার অতি প্রবল  সাইক্লোন যশ (Cyclone Yaas) আছড়ে পড়েছিল ওড়িশার বালাসোরের উপকূলবর্তী এলাকায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলা ও ওড়িশা দুটি রাজ্যই। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্রায় বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয় দুটি রাজ্যেরই উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। করোনাকালে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় প্রাণ হানির ঘটনা খুবই কম। কিন্তু প্রাকৃতিক তাণ্ডবের কারণে দুটি রাজ্যেই প্রচুর সম্পত্তি ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে।