১৯৯৮ সালের কোয়েম্বাটোরে বোমা হামলার মূল অভিযুক্ত টেইলর রাজা ওরফে সাদিক রাজা ২৬ বছর পর ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোয়েম্বাতুরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
১৯৯৮ সালে কোয়েম্বাটোরে সংঘটিত ধারাবাহিক বোমা হামলার মূল অভিযুক্ত টেইলর রাজা ওরফে সাদিক রাজা ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক থাকার পর ছত্তিশগড়ে গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোয়েম্বাটোরে নিয়ে আসছে।
গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ:
কোয়েম্বাটোর বোমা হামলার দীর্ঘদিন ধরে পলাতক টেইলর রাজাকে ছত্তিশগড়ে আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কোয়েম্বাটোরে আনার জন্য সন্ত্রাস দমন বিভাগের পুলিশ ছত্তিশগড়ে রওনা হয়েছে।
কোয়েম্বাটোরে পৌঁছানোর পর তাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই গ্রেফতার দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন:
টেইলর রাজার গ্রেফতারের পর কোয়েম্বাটোরে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব থানায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পদক্ষেপ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার জন্য একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
১৯৯৮ সালের কোয়েম্বাটোর ধারাবাহিক বোমা হামলার পটভূমি:
১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে সংঘটিত এই ধারাবাহিক বোমা হামলা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তৎকালীন বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এল কে আদভানি কোয়েম্বাটোরে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। তিনি যে মঞ্চে বক্তব্য রাখার কথা ছিল তার কাছেই একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর শহরের ১৪টি স্থানে ধারাবাহিকভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
এই ভয়াবহ ঘটনায় ৫৮ জন নিহত হন। আহত হন ২৩১ জন। এছাড়াও সহস্রাধিক মানুষ আহত হন। এই ঘটনাগুলি তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সারা দেশে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে কোয়েম্বাটোর পুলিশ এই মামলার তদন্ত করে। পরে মামলার গুরুত্ব ও তীব্রতার কারণে এটি একটি বিশেষ তদন্ত দলের (SIT) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২৬ বছর পর মূল অভিযুক্তের গ্রেফতার এই মামলায় আরও অনেক তথ্য উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

