সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশের ওমিক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উর্ধ্বতন সরকারী কর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বর্তমানে দেশের করোনাভাইরাসের (Coronavirus) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সভার সভাপতিত্ব করেন। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোটা দেশেই ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে এি পর্যালোচনা বৈঠক যেথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা দেশের ওমিক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উর্ধ্বতন সরকারী কর্তারা। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে কী করে বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে সে নিয়েও বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন মোদী।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতে ১৬ টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৩৬টি কেস রেকর্ড করা হয়েছে দেশে। যার মধ্যে ১০৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছে।
মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনাও করে সংগৃহীত নমুনা দ্রুত পরীক্ষার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়ার আবেদন জানান হয়েছে। দ্রুত কোভিড টিকা দিলে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে বলেও বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোভিড-১৯এর সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে ১৪০.২৪ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত ৫১ লক্ষেরও বেশি ভ্যাক্সিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর এখন টিকা কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য সন্ধ্যে পর্যন্ত টিকা দানের কাজ চলছে।
অন্যদিকে এদিন অ্যাস্ট্রোজেনেকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তাদের তৈরি ভ্যাক্সিনের তিন ডোজের কোর্সের পর ডেল্টার বিরুদ্ধে যেভাবে দুটি ডোজ কাজ করেছে সেই একই ভাবে কাজ করছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যাসয়ের ল্যাব অধ্যায়নটি এখনও পিয়ার-রিভিউ করা মিডেক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।
অ্যাস্ট্রোজেনেকা আরও বলেছে যে অক্সফোর্ডের এই স্টাডিজ সম্পর্ণ পৃথক ছিল যেসব গবেষক ভ্যাক্সজেভরিয়া নিয়ে কাজ করছিলেন তাদের থেকে। ভারতে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন স্থানীয়ভাবে কোভিশিল্ড হিসেবে পরিচিত। এটি তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ভারতের সর্বাধিক প্রাপ্ত করোনাটিকাগুলির মধ্যে এটি একটি।
তৃণমূলের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের I-Pacর কোনও বিরোধী নেই, কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বলল ঘাসফুল
Roundup 2021: বড় চমক টমেটোর দামে, পেট্রোলের দামকে হার মানিয়েছিল এই সবজি