সংক্ষিপ্ত
চলতি বছর টোমেটোর দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ- যা টমেটো উৎপাদনে এই দেশের মধ্যে প্রথম হলে পরিচিত সেখানেই মাস খানের আগে এই সবজির দাম ছিল ১৪০ টাকা কিলো।
বছর দুই আগে পেঁয়াজের দাম চোখে জল এনেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সকল মধ্যবিত্ত ভারতবাসীর। কিলো প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০০-১৫০ টাকা কিলো দরে। কোথাও কোথায় দাম আরও বেড়েছিল। তারপর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে- এই আশঙ্কায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকেই দুরুদুরু বকে অপেক্ষা করতে থাকে আম আদমি। কিন্তু এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি। কারণ চলতি বছর টমাটোর দামে (Tomato Price) ছিল বড় চমক। কারণ চলতি বছর দেশের বেশ কিছু এলাকায় কিলো প্রতি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কি তারও বেশি কিলো দরে।
চলতি বছর টোমেটোর দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ- যা টমেটো উৎপাদনে এই দেশের মধ্যে প্রথম হলে পরিচিত সেখানেই মাস খানের আগে এই সবজির দাম ছিল ১৪০ টাকা কিলো। বেশ কয়েক জায়গায় টমেটো কিনলে বিনামূল্যের উপহার দিয়েও ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা ককরা হয়েছে। আর পাশের রাজ্য তামিলনাড়ুতে দেখা গিয়েছিল অন্যছবি। সেখানে এক কেজি বিরিয়ানি কিনটে দেড় কেজি টমেটো ফ্রি-দেওয়ার অফারও দেওয়া হয়েছিল। অন্ধ্র বা তামিলনাড়ু নয় বাংলাতেও টমোটোর দাম চোখে জল এনেছিল ক্রেতার। কারণ এখানের বেশ কিছু বাজারে টমেটোর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কিলোর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। অথচি নিত্য প্রয়োজনীয় সবজিগুলির মধ্যে এই টমোটো একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজী।
টমেটোর এই চড়া বাজার দর একটা সময় পেছনে ফেলে দিয়েছিল জ্বাালনি তেলের দামকেও। কারণ চলতি বছর দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ছাড়ায়ি গিয়েছিল। যা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানাকরতে পিছপা হয়নি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানে টমোটোর দামও সেই পেট্রোল ও ডিজেলের দামকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরাতো স্পষ্ট করে বলেছিলেন মোদী সরকার নাকি পেঁয়ার আর টমেটোর ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেছিল।
যাইহোক এবার আসি কেন টমোটোর দাম চলতি বছর আকাশ ছুঁয়েছিল - সেই বিষয়ে। দেশের সব থেকে বেশি টমেটো উৎপন্ন হয় অন্ধ্র প্রদেশে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চলতি বছর অন্ধ্রে ব্যাপক ক্ষতি হয় চাষের। সাধারণত অন্ধ্র প্রদেশের ৫৯ হাজার হেক্টর জমিটে টোমেটো চাষ হয়। রাজ্যে গড় প্রতি বছর ২৬.৬৭ লক্ষ মেট্রিক টন টোমেটো উৎপন্ন হয়। চিত্তির মদবনপল্লে টোমেটোর সবথেকে বড় বাজার। কিন্তু সম্প্রতী প্রবল বৃষ্টিতে চিত্তুর ও অনন্তপুর জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্ধ্রের পর সবথেকে বেশি টোমেটো সরবরাহ করা হয় মহারাষ্ট্রের সোলাপুর ও কর্নাটকের চিকবুল্লাপুর থেকে। কিন্তু গোটা দেশের চাহিদা সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই দুটি জায়গা যোগান দিতে পারেনি টমেটোর। কারণ কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রেও চলতি বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব দেখা গেছে। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেকটাই কম ছিল অক্টোবরের পর থেকে। তাই দাম বাড়ছে টোমেটোর। চেন্নাইতও টোমেটোর আকাল দেখা গিয়েছিল। কারণ এখানে টোমেটো আসে কর্নাটক আর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।
যাইহোক সম্প্রতী অবশ্য টমেটোর দাম কিছুটা কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে আম আদমি। কারণ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই টমেটোর দাম কমছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী ২১ ডিসেম্বর সর্বভারতীয় স্তরে টমেটোর দাম এক মাসের তুলনায় ২৩.৬৯ শতাংশ কমেছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, অন্ধ্র প্রদেশের বাজারগুলিতেও টমেটোর আমদানি বেড়েছ। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে গত কয়েক দিনে টমেটোর দাম আরও কমতে পারে। খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছেন বৃষ্টির কারণে মহারাষ্ট্র গুজরাট থেকে টমেটো সরবরাহ ব্যহত হয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। তাতেই খুচরো বাজারে টমেটোর দাম হ্রাস পেয়েছে।
Dinosaur: ৬ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের ভ্রূণ উদ্ধার, ১০ বছর পড়েছিল গুদামঘরে
Ludhiana Court Blast: শৌচাগারে বোমা বাঁধতে গিয়েই কি আইইডি বিস্ফোরণ, লুধিয়ানা কোর্টেকাণ্ডে তদন্ত চলছে
CRPF women commandos: অমিত শাহ থেকে গান্ধী পরিবার, নিরাপত্তার দায়িত্বে মহিলা কমান্ডোরা