সংক্ষিপ্ত

  • কর্নাটকে ইস্তফা একের পর এক বিধায়ক
  • কংগ্রেস- জেডিএস সরকার পতনের আশঙ্কা
  • ইস্তফা রুখতে মরিয়া কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব
  • সুযোগ বুঝে আসরে বিজেপি

কর্নাটকে কংগ্রেস- জেটিএস সরকারের সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করল। অন্তত ১৪ জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই ইস্তফা জমা দিয়েছেন বিধানসভায় গিয়ে। তাঁদের মধ্যে ১১জনের পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়েছে।  পদত্যাগীদের মধ্যে কংগ্রেস এবং জেডিএস, দু' দলের বিধায়করাই রয়েছেন। দলীয় বিধায়কদের ধরে রাখতে এ দিন বিকেলেই জরুরি বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। গোটা পরিস্থিতির উপরে তাঁরা নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

কংগ্রেসের যে বিধায়করা এ দিন পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডিও। বিধায়করা প্রত্যেকেই প্রথমে বিধানসভায় যান পদত্যাগপত্র জমা দিতে। কিন্তু সেখানে অধ্যক্ষের দেখা না পেয়ে তাঁর সচিবের কাছেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রাজ ভবনে গিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়ে আসেন পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন। 

আরও পড়ুন- রাহুলের জায়গায় তরুণ রক্তেই ভরসা, দাবি অমরেন্দ্রর

শাসক জোটের বিধায়কদের ইস্তফার এই হিড়িক অব্যাহত থাকলে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০১৮ সালে কর্নাটকে কংগ্রেস- জেডিএস জোট সরকার গঠনের পর থেকেই বেশ কয়েকবার সরকার ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধায়কদের ধরে রাখতে সফল হয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু ইতিমধ্যেই ১১জন বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়েছে। ফলে, কংগ্রেস এবং জেডিএস নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। 

পদত্যাগী এগারো বিধায়কের মধ্যে চারজন কংগ্রেস বিধায়ক আবার দাবি করেছেন, সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তাঁরা পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেবেন। কয়েকজনের আবার দাবি, তাঁদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। অন্যদিকে পদত্যাগী তিন বিধায়ককে নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক শুরু করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। 

এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতারাও সুযোগ বুঝে আসরে নেমে পড়েছেন। বিজেপি সাংসদ জিভিএল নরসিমা রাও বলেছেন, 'কর্নাটকের মানুষ কংগ্রেস- জেডিএস জোট সরকারের এই টানাপোড়েন দেখতে দেখতে ক্লান্ত। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। এই সরকারের পতন বলে শুধু বিজেপি-ই নয়, রাজ্যের মানুষও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন।'

তবে শোনা যাচ্ছে বিধায়করা পদত্যাগপত্র না ফেরালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে কংগ্রেস। কারণ, সরকার গঠনের সময় একই ধরনের টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় শাসক জোটের বিধায়করা শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান, তাঁরা কংগ্রেস এবং জেডিএস-কেই সমর্থন করবেন।