সংক্ষিপ্ত
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কংগ্রেসের হাতিয়ার সত্যপাল মালিকের মন্তব্য। মোদী সরকারকে আক্রমণ করে সাতটি প্রশ্ন কংগ্রসের। দাবি শ্বেতপত্র প্রকাশেরও।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে বর্তমানে কংগ্রেসের হাতিয়ার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের মন্তব্য। সত্যপাল মালিকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস এবার পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে গোটা ঘটনা প্রকাশ করা উচিৎ কংগ্রেসের। গোয়েন্দা ব্যার্থতা কী ছিল, কেন সেনাদের বিমানে নিয়ে আসা হয়নি - তা বিস্তারে জানান হোক দেশের মানুষকে। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায়ে জঙ্গি হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়।
সম্প্রতি একটি নিউজ পোর্টালে সত্যপাল মালিক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেছিলেন, হামলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দায়ী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাফিলতির জন্যই হামলা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁক মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। সত্যপাল মালিকের এই সাক্ষাৎকার দেওযার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু বিজেপি সত্যপাল মালিকের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যাইহোক সত্যপাল মালিকের মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই আসরে নামছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র শক্তিসিংহ গোহিল বলেছেন, ২০১৯ সালে পুলোয়ামার মত একটি ঘটনার বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি দেয়নি। তবে একটি সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) শঙ্কর রায়চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করায় এই সমস্যাটি উত্থাপন করতে হয়েছিল।
চৌধুরী এবং আচার্য, দুই সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণ, বলেছেন প্রতিরক্ষা ভ্রাতৃত্ব এবং সমগ্র দেশ সত্যপাল মালিক এবং জেনারেল রায়চৌধুরীর উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করছে।
কংগ্রসের প্রশ্ন,
১. ২৫০০ সিআরপিএফ জওয়ানের অনুরোধ সত্ত্বেও কেন তাদের জন্য বিমানের ব্যবস্থা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
২. কেন ২ জানুয়ারি ২০১৯ সালে জঙ্গি হামলার সতর্কতা থাকলেও তা কেন উপেক্ষা করা হয়েছিল।
৩. জঙ্গিরা কীভাবে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল।
৪. দক্ষিণ কাশ্মীর বিশেষত পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, অবন্তিপোরা বেল্টে ভারী নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৫. হামলার চার বছর পরে তদন্ত কতটা এগিয়েছে।
৬. তদন্তশেষ করে দেশকে ফলাফল জানাতে দেরি হচ্ছে কেন
৭. কংগ্রেস আরও বলেছে ২০১১ সালে মুম্বই হামলা ও ২০১৬ সালে পাছানকোট হামলার তদন্ত হয়েছিল ও তার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। সেইমত পুলওয়ামা হামলার তদন্ত রিপোর্টও প্রকাশ করা জরুরি। এটি দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
মোটকথা কংগ্রেসের দাবি- ভারত সরকার পুলওয়ামা হামলার উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে, যেখানে -- কীভাবে হামলা হয়েছিল, গোয়েন্দা ব্যর্থতা কী ছিল, কেন সেনাদের বিমান প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, কী নিরাপত্তা ত্রুটি ঘটেছে এবং এর ভূমিকা সিআরপিএফ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে।