সংক্ষিপ্ত

দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের যোগদান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও রকম সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। 

জল্পনা এখনও জল্পনাই রয়ে গেছে- ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কংগ্রেস। যদিও দলের অন্দরে চাপা গুঞ্জন রয়েছে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। সেইমত সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী কথা বলছেন দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে। এই অবস্থায় কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে চুক্তি পাকা করলেন তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। আগামী বছর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কেসিআর-এর হয়ে নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করবেন প্রশান্ত কিশোর। শনিবার রাতে হায়দরাবাদে কেসিআর-এর বাসভবনে  দীর্ঘ বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

বেশ কয়েক দিন ধরেই এই বিষয়ে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের যোগদান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও রকম সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। যদিও সূত্রের খবর কংগ্রেসও প্রশান্ত কিশোরের সাহায্যেই ২০২২-২৩ সালে যেসব রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সেগুলির রণনীতি তৈরি করতে চাইছে। 

এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তিনটি বৈঠক হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। একাধিকবার প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আগামী ২ মে। সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। 

সূত্রের খবর ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে চাইছেন কংগ্রেস। সেইলক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোর প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তিনি কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চান সেই বিষয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যা পছন্দ হয়েছে সনিয়া গান্ধীর। সূত্রের খবর কংগ্রেস ৩৭০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে। যা পুরোপুরি সমর্থন করেছেন প্রশান্ত কিশোর। 

অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর কেসিআর-এর ভোট কুশলী হলেও কংগ্রেসের তেমন আপত্তি থাকার কিছু নেই বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ কেসিয়ার কংগ্রেসের বিরোধী নয়। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে বারবার সওয়াল করেছেন। একাধিকবার রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তিনি কংগ্রেসকে বিজোপি বিরোধী শক্তিশালী দলের মর্যাদাও দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টাও করেছেন। তিনি শিবসেনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন।