সংক্ষিপ্ত
রাজকুমার সিং ওরফে রাজু ভাইয়া, উত্তর প্রদেশ পৌর নির্বাচন ২০২৩-এর কংগ্রেস প্রার্থী, আতিক আহমেদকে শহীদ বলেন এবং নিহত রাজনীতিবিদদের জন্য ভারতরত্ন পুরস্কার দাবি করে একটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
কংগ্রেস মন্ত্রী রাজকুমার রাজু আজ গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফের কবরে জাতীয় পতাকা রাখাকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এমনকি তিনি 'কলমা' পাঠ করে আতিক ও আশরাফের সম্মান পেতে লড়াই করবেন বলে জানান। টাইমস নাউ দ্বারা অ্যাক্সেস করা ভিডিওতে, রাজকুমার রাজুকে কবরের উপর তিরাঙ্গা রেখে কলমা পাঠ করতে দেখা যায়। এখানেই শেষ নয়, 'আতিক ভাই আমার রাহে...' বলতেও শোনা যায়।
এর আগে, রাজকুমার সিং ওরফে রাজু ভাইয়া, উত্তর প্রদেশ পৌর নির্বাচন ২০২৩-এর কংগ্রেস প্রার্থী, আতিক আহমেদকে শহীদ বলেন এবং নিহত রাজনীতিবিদদের জন্য ভারতরত্ন পুরস্কার দাবি করে একটি বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, আতিক আহমেদ শাহাদাত বরণ করেছেন, তাই তার মরদেহ তেরঙ্গায় মুড়ে দেওয়া উচিত ছিল। রাজু ভাইয়া অভিযোগ করেছেন যে আতিক আহমেদ হত্যার জন্য উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়ী। কংগ্রেস প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেছেন। আতিক আহমেদের জন্য তার ভারতরত্ন পুরস্কারের দাবিকে সমর্থন করে, রাজু ভাইয়া বলেন, প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব যদি পদ্মবিভূষণ পেতে পারেন, তাহলে আতিক আহমেদ কেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাবেন না।
রাজু ভাইয়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দক্ষিণ মালাকা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেস প্রার্থী। পরে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৫ এপ্রিল রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রয়াগরাজ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল ধৃত আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। কড়া পুলিশি পাহাড়ায় নিয়ে আসা হয়ছিলে তাঁদের। কিন্তু এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও হয়নি শেষ রক্ষা। সাংবাদিকদের ভিড়েই মিশে ছিল আততাই। মেডিক্যাল কলেজে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। উঠে এসেছিল ছেলে আসাদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও। সেই সময়ই গুড্ডু মুসলিম বলে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন আতিক, আচমকাই তাঁর মাথা এফোঁর ওঁফোর হয়ে যায় আতিকের মাথা। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার টুইটারে তিনি লিখলেন,'উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ছবি দেখে আমি স্তম্ভিত। অপরাধীরা পুলিশ সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে, এটা চূড়ান্ত লজ্জার। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই ধরনের বেআইনি কাজের কোনও জায়গা নেই।'
১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফ। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের এই ঘটনায় কেঁপ্র উঠেছে গোটা দেশ। সাংবাদিকের ছদ্মবেশে জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তেই উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যাচ্ছে খুন করে চম্পট দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং একরকম আত্মসমর্পনই করেছিলেন ধৃত অরুণ মৌর্য, নবীন তিওয়ারি ও সোনু। শনিবার রাতে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে এসেই এই ঘটনা। কিন্তু ঠিক কোন উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন তাঁরা সেবিষয় পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। খুনের কারণ জানতে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।