সংক্ষিপ্ত

 কংগ্রেস সূত্রের খবর মমতার বিরুদ্ধে 'অল আউট আক্রমণে' নামছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব একা অধীররঞ্জন চৌধুরী পালন করে আসছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জাতীয় স্তরে  কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। কিন্তু কিন্তু সেই ফাটল যে এত দ্রুত এত বড় হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও হয়তো কল্পনা করতে পারেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ জাতীয় রাজনীতিতে বরাবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু বুধবার মুম্বইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মন্তব্য কংগ্রেস যে রীতিমত ক্ষুব্ধ তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর মমতার বিরুদ্ধে 'অল আউট আক্রমণে' নামছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্ব একা অধীররঞ্জন চৌধুরী পালন করে আসছিলেন। এবার তাঁর সঙ্গে থাকবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, দিগ্বিজয় সিং, রণদীপ সুরজেওয়ার মত শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা। সূত্রের খবর বুধবার রাতে কংগ্রেসের একটি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার মুম্বইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি জানিয়ে দেন বর্তমানে দেশে ইউপিএ-এর কোনও অস্বিত্ব নেই। অন্যদিকে মুম্বইয়ে নাগরিক সমাজের বৈঠকেও নাম না করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন রাজনীতি নিত্যদিনের বিষয়ে। সেটে দেশে থেকেই করতে হয়। বছরের অর্ধক সময় বিদেশে থাকতে দেশের রাজনীতি করা সহজ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দুই মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। পাশাপাশি মেঘালয় ও গোয়া কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।  যা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস।  সূত্রের খবর দলের একটি বড় অংশ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। যদিও  কংগ্রেসের কৌশল হবে বিরোধী ঐক্যের নামে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে রাখা। তেমনই জানিয়েছে একটি সূত্র।  

 মুম্বইয়ে মমতার মূল বক্তব্যই ছিল আঞ্চলিক দলগুলিকে জোটবদ্ধ করা। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে প্যান ন্যাশানাল এক্সপ্রেশন বা সমমনা দলগুলির জোট। কিন্তু মমতার সেই ভাষ্যে কংগ্রেস ছিল বাইরে। মুখে না বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে বাইরে রেখেই জোট করতে চাইছিলেন। কংগ্রেস নেতাদের কথায় যা অলীক কল্পনা ছা়ড়া আর কিছুই নয়। 

বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বরাবরই মমতার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীতে বিচরণ করেন। শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতার বৈঠককে তিনি ষড়যন্ত্র হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। কিনি বলেছেন কংগ্রেসকে দুর্বল করতেই এই বৈঠক। মনতার এই বৈঠক বিজেপিকে অক্সিজেন দেবে বলেও দাবি করেন তিনি। অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন কেসি বেনুগোপাল। কিন্তু এবার থেকে কংগ্রেস আর বিক্ষিপ্ত আক্রমণের রাস্তায় হাঁটবে না। মমতা বিরুদ্ধে দলগত আক্রমণের পথেই যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেছেন যুবকংগ্রেস প্রধান বিভি শ্রীনিবাস। তিনি টুইট করে বলেছেন মোদীজিকে যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেশদ্রোহী বলা হয়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও প্রশ্ন করা হলে সেই ব্যক্তিকে মাওবাদীর তকমা দেওয়া হয়- তাহলে দুজনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়। 
Rajya Sabha: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ, উত্তপ্ত রাজ্যসভা ছাড়লেন বিরোধীরা

BJP: লক্ষ্য ৫০০ সংখ্যালঘু ভোট, গোয়া জয়ে নতুন কৌশল গেরুয়া শিবিরের

Expensive City: বিশ্বের সবথেকে দামি শহর তেল আভিভ, সস্তা শহরের তালিকায় রয়েছে ভারত