সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গান্ধীমূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভার কংগ্রেস অধীর চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। 

আজ থেকে সংসদে শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন (Winter session)। তবে অধিবেশনের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত সংসদ। বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় উভয়কক্ষের অধিবেশন। ওই তীব্র হট্টগোলের মাঝেই কৃষি আইন বাতিল বিল, ২০২১ (Farm Laws Repeal Bill, 2021) পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar)। আর সেই হট্টগোলের মধ্যেই পাস হয়ে যায় ওই বিল। সংসদে যে আজ এই বিল পেশ করা হত একথা আগে থেকেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আজ সকালে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির (Gandhi Statue) পাদদেশে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। 

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে গান্ধীমূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং লোকসভার কংগ্রেস অধীর চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল একটি ব্যানার। সেখানে লেখা 'কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি আমরা'। যেখানে কৃষি আইন অনেক দিন আগেই প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সেখানে এই দাবির কী প্রয়োজন রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর এর জেরেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে কংগ্রেসকে। 

 

 

কংগ্রেসের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানোর একটি ভিডিও পোস্ট করে এক টুইটার ইউজার লেখেন, "আমি মনে করি নিজের ছেলের থেকে বেশি বুদ্ধিমান সোনিয়া গান্ধী। যদিও মায়ের থেকে অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ হলেন রাহুল গান্ধী। কারণ তিনি একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ। তবে রাহুল কি সোনিয়া জি-কে বলতে ভুলে গিয়েছিলেন যে কৃষি আইন ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার করা হয়েছে?"

আরও পড়ুন- বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল, কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস করল সরকার

আরও একজন লেখেন, "আসলে পোস্টার হয়তো অনেক মাস আগেই বানিয়ে ফেলেছিল। এঁরা আসলে ভাবতে পারেননি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেবেন। আর যখন একবার পোস্টার বানিয়েই ফেলেছেন তখন আর তা নষ্ট করে কী লাভ। তাই নিয়েই দাঁড়িয়ে পড়েছেন। কে আর কী বোঝে!"

 

 

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত কটাক্ষ করে টুইটারে লেখেন, "আসলে প্রাসাদের মধ্যে কোনও খবরই পৌঁছায় না। যা নেহরুর বংশের থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।"

এক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক বিশ্ব মোহন লেখেন, "গত ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা, গরম, বৃষ্টি এবং কোভিড-19-এর মতো প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে কৃষকরা যে আন্দোলন করেছেন তার কৃতিত্ব না নিয়ে কৃষকরা যে অন্য দাবিগুলি করেছেন সেদিকে কি বিরোধীরা আলোকপাত করছে?"

অধিবেশনের প্রথম দিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে অনড় ছিল বিরোধীরা। যদিও সরকারের বক্তব্য ছিল, কৃষি আইন বাতিলের জন্য এই বিল আনা হয়েছে। যেহেতু আইনটি বাতিলই হয়ে যাবে, তাই এই বিল নিয়ে আলোচনার যৌক্তিকতা নেই।