সংক্ষিপ্ত
রাম মন্দিরের নির্মাণ ও নির্মাণ পরবর্তী যাবতীয় আইনকানুন স্থির করার জন্য আয়োজিত এই বৈঠকে শুধু মাত্র রাম মন্দির নির্মাণের আনুমানিক খরচের যা হিসাব দেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৮০০ কোটি টাকায়। এরপর মন্দির চত্বরে প্রতিষ্ঠা করা হবে রামায়ণের নানা চরিত্রের মূর্তি।
১,৮০০ কোটি টাকা খরচ করে অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারেই শুরু হচ্ছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। এই মর্মে ফৈজাবাদ সারকিট হাউসে রাম মন্দিরের বিধি ও নিয়মকানুন স্থির করার জন্য একটি ম্যারাথন বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
রাম মন্দিরের নির্মাণ ও নির্মাণ পরবর্তী যাবতীয় আইনকানুন স্থির করার জন্য আয়োজিত এই বৈঠকে শুধু মাত্র রাম মন্দির নির্মাণের আনুমানিক খরচের যা হিসাব দেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৮০০ কোটি টাকায়। এরপর মন্দির চত্বরে প্রতিষ্ঠা করা হবে রামায়ণের নানা চরিত্রের মূর্তি।
ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই সাংবাদিকদের জানান যে, "ট্রাস্টের বিধি এবং উপ-আইনগুলি সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ এবং তাদের সাথে গভীরভাবে আলোচনার পরে সভায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল।"
আরও পড়ুন - লাদাখ সীমান্তে আজই অচলাবস্থার শেষদিন? সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করছে ভারত চিন
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি, সদস্য ডাঃ অনিল মিশ্র, মহন্ত দিনেন্দ্র দাস, কামেশ্বর চৌপাল, উডুপি পীঠধীশ্বর বিশ্বতীর্থ প্রসন্নাচার্য এবং প্রাক্তন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নীতীশ কুমার। এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন, যুগপুরুষ পরমানন্দ, বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র, কেশব পরাশরণ এবং প্রাক্তন সদস্য রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র, সঞ্জয় কুমার।
আরও পড়ুন - জ্ঞানবাপী মসজিদে কি মিলবে পুজোর অনুমতি? সংবেদনশীল মামলার রায় আজ
চম্পত রাই আরও জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করা যাবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তি উৎসবের মধ্যে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামচন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান তিনি।